ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত গ্রেফতার সিয়াম হোসেনকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ (সিআইডি)।
শনিবার (৮ জুন) দুপুরে বারাসাতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিয়ামকে হাজির করে ১৪ দিনের হেফাজতে চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
বিজ্ঞাপন
গতকাল শুক্রবার (৭ জুন) নেপালে আটক সিয়াম হোসেনকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে মোট পাঁচজন আসামি গ্রেফতার হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন বাংলাদেশে এবং বাকি দুজন কলকাতায়।
বাংলাদেশে গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন— সৈয়দ আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাহাজি ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান। আর ভারতে আছেন জিহাদ হাওলাদার ও সিয়াম হোসেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, কসাই জিহাদ হাওলাদারকে সিআইডি ১২ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল আদালতে হাজির করে। আদালত জিহাদকে পরবর্তী শুনানির তারিখ পর্যন্ত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
কলকাতার যে ফ্ল্যাটে আনোয়ারুল খুন হয়েছেন বলা হচ্ছে, সেখানকার সেপটিক ট্যাংক থেকে কিছু মাংসের টুকরা উদ্ধার করেছিল সেখানকার পুলিশ। কিন্তু সেটা আনোয়ারুলের কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এজন্য ডিএনএ পরীক্ষা দরকার। ডিএনএ নমুনা দেওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত আনোয়ারুলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কোনো কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেনি।
শনিবার (৮ জুন) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য এমপির পরিবারের সদস্যরা খুব দ্রুত ভারতে যাবেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়া ভারতের তদন্ত কর্মকর্তারাও পরিবারের সদস্যদের নাম ও মোবাইল নম্বর নিয়েছে। শিগগির তারা ডাকবে। যদি তারা ডাকে তবে ধরে নিতে হবে ডিএনএ টেস্টের জন্য ডেকেছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজিম।
বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনার নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পাশের নিউটাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে সংসদ সদস্য আনার খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।
এমএইচটি