ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বিটকয়েনের দাম। বিশ্ববাজারে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন সর্বকালের সর্বোচ্চ দামের দ্বারপ্রান্তে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ভার্চুয়াল এ মুদ্রাটির দর উঠে যায় ৬৮ হাজার ৬০০ ডলারে, যা বিগত দুবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে সোমবার এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানায়, প্রতি বিটকয়েনের দর ৬৫ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। গত ২ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। পরে সেই দাম ৬৮ হাজার ৬০০ ডলারে পৌঁছায়।
বিজ্ঞাপন
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান এ ভার্চুয়াল মুদ্রার দাম। মঙ্গলবার ৬৮ হাজার ৬০০ ডলারে ওঠে এর দাম। এদিন এক পর্যায়ে মুদ্রাটির দর ৬৮ হাজার ৮২৮ ডলারেও অবস্থান করে, যা বিগত দুবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এটি সর্বকালের সর্বোচ্চ দামের কাছাকাছি।
আরও পড়ুন: বিটকয়েনের দাম ছাড়াতে পারে লাখ ডলার!
এর আগে, ২০২১ সালের নভেম্বরে বিশ্ববাজারে বিটকয়েনের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ ৬৮ হাজার ৯৯৯ দশমিক ৯৯ ডলারে পৌঁছেছিল।
চলতি বছরের প্রথম দিক থেকেই হু হু করে বাড়ছে বিটকয়েনের দাম। গত জানুয়ারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ভার্চুয়াল মুদ্রাটির দর বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। বিশেষ করে বিগত কয়েক সপ্তাহে তা ব্যাপক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র-তালিকাভুক্ত বিটকয়েন তহবিলে প্রবাহ বেড়েছে।
বিজ্ঞাপন
ধারণা করা হচ্ছে, আগামী এপ্রিলে ক্রিপ্টোকারেন্সির সরবরাহ কমবে। এছাড়া চলমান বছরের মাঝামাঝিতে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে । ফলে দেশটির মুদ্রা ডলারের মান কমছে। বিপরীতে বিটকয়েনের দর বাড়ছে। ফলে ডিজিটাল মুদ্রাতে বিনিয়োগে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা।
গত জানুয়ারিতে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডের (ইটিএফ) মাধ্যমে বিটকয়েনে বিনিয়োগের অনুমোদন দেয় ইউএস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। ফলে এখন প্রথাগত পদ্ধতিতে মুদ্রাটিতে বিনিয়োগ করতে পারছেন বিনিয়োগকারীরা।
বিট কয়েন আসলে কোনো কয়েন নয়। এটি একটি ভার্চুয়াল মুদ্রা, যা কম্পিউটারের মাধ্যমে আদানপ্রদান করা হয়। বিট কয়েনের সাংকেতিক প্রতীক হল BTC, এবং এর ক্ষুদ্র একক হল সাতোশি। ১ বিট কয়েন সমান ১০০০ মিলি বিটয়েন এবং সাতোশি ১ বিটকয়েন সমান ১ কোটি সাতোশি।
আরও পড়ুন: কোটিতে পৌঁছতে পারে বিটকয়েনের দাম: স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড
বিট কয়েন কোনো ক্যাশবাক্স বা ব্যাংকে রাখা যায় না। এই মুদ্রার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাও নেই।এটি অনলাইনের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়।
যেহেতু এটি একটি ক্রিপ্টোক্রারেন্সি সিস্টেম তাই অনলাইনে সকল প্রকার বৈধ ও অবৈধ কাজে এটি ব্যবহার করা হয় এবং যেহেতু নির্দিষ্ট কোনো নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা নেই তাই বিটকয়েনের মাধ্যমে লেনদেন করলে কে বা কারা করছে এটি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।
একে

