কয়েকদিন আগেই বরাত জোরে রক্ষা পায় একটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ বিমান। মাঝ আকাশেই আলাস্কা এয়ারলাইন্সের বিমানটির দরজা উড়ে যায়। ১৭১ জন যাত্রী এবং ছজন কর্মীকে নিয়ে পোর্টল্যান্ড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে সেটি। এই ঘটনার রেশ না কাটতেই ফের কাঠগড়ায় বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান। এবার কাঠামোয় নির্মাণগত সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে।
জানা গেছে, অন্তত ৫০টি ম্যাক্স বিমানের ফিউসেলাজ বা কাঠামোয় নির্মাণগত সমস্যা দেখা দিয়েছে। বোয়িংয়ের যন্ত্রাংশ জোগানদাতা সংস্থা ‘স্প্রিট অ্যারোসিস্টেমস’ এই ত্রুটি ধরতে পেরে বোয়িং কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে মার্কিন বিমানসংস্থাটি। খবর সিএনএনের
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: কালজয়ী মডেল ৭৪৭ এর উৎপাদন বন্ধ করছে বোয়িং
এক বিবৃতিতে বোয়িংয়ের কমার্শিয়াল এয়ারপ্লেনস ডিভিশনের সিইও স্ট্যান ডিলস বলেন, ‘এনিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু নেই। ৭৩৭ বিমানগুলো সুরক্ষিতভাবেই ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে। তবে ৫০টি নির্মীয়মাণ বিমানে ফের কিছুটা কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।’
বাণিজ্যিক বিমানের ক্ষেত্রে অন্যতম কোম্পানি বোয়িং। গোটা বিশ্বে দাপটের সঙ্গে ডানা মেলছে সংস্থাটির নির্মিত যাত্রীবাহী বিমানগুলো। তবে বিগত কয়েকবছরে বোয়িংকে টক্কর দিচ্ছে ইউরোপীয় বহুজাতিক সংস্থা এয়ারবাস। বিমানসংস্থাগুলোর পছন্দের তালিকায় উপরের দিকে নাম রয়েছে এয়ারবাস ৩২০ বিমানের। এই প্রেক্ষাপটে ম্যাক্স বিমানের ত্রুটি প্রকাশ্যে আসায় বোয়িংয়ের উপর চাপ অনেকটাই বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ৪৭০ বিমান, ৮০ বিলিয়ন ডলার: ভারতের ঐতিহাসিক বিমান চুক্তি
বিজ্ঞাপন
অতীতে একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে বোয়িংয়ের ম্যাক্স সিরিজের বিমানগুলো। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-৮ বিমান ভেঙে পড়ে। ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮৯ জন। তার কয়েক মাস পরেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় ইথিওপিয়ান বিমান সংস্থার একটি ম্যাক্স বিমান। নিহত হন ১৫৭ জন। এরপরই বিশ্বজুড়ে এই বিমানগুলো নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল।
একে