কালজয়ী মডেল ৭৪৭ এর উৎপাদন বন্ধ করছে বোয়িং। মঙ্গলবার এই মডেলের সর্বশেষ বিমানটি পাবে আটলাস এয়ার। ষাটের দশকে বিমানযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিল ‘কুইন অব স্কাইস’ হিসেবে পরিচিত এই বিমান।
এই মডেলের বিমানের উৎপাদন বন্ধ করার পর এবার তাদের বহরে যুক্ত হবে নিখুঁত টুইনজেট প্লেন। খবর রয়টার্সের
বিজ্ঞাপন
ষাটের দশকে বিশ্বজুড়ে মানুষের বিমান ভ্রমণ প্রবণতা বাড়তে থাকলে প্রয়োজন দেখা দেয় বিশালাকার উড়োজাহাজের। এমন বিমান, যা দেড় দুইশ নয়, একসাথে ৩০০-৪০০ মানুষ নিয়ে ভাসতে পারবে হাওয়ায়। জ্বালানি সংকটের সময় আসনসংখ্যা বাড়িয়ে খরচ কমানোর পথও খুঁজছিল এয়ারলাইন্সগুলো। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্যান অ্যাম এয়ারলাইন্সের প্রতিষ্ঠাতা এমন ঢাউস বিমান তৈরির চ্যালেঞ্জ দিলে, তা লুফে নেন বোয়িং প্রেসিডেন্ট।
কিংবদন্তিতুল্য এভিয়েশন ইঞ্জিনিয়ার জো সাটারের নেতৃত্বে মাত্র ২৮ মাসেই প্রস্তুত হয় প্রযুক্তির বিস্ময় বোয়িং-৭৪৭। ১৯৬৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো সেটি আকাশে ওড়ে।
দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন আর বিশাল বপুর কারণে শুরুতেই নজর কাড়ে এই জাম্বো জেট বিমান। ধারণক্ষমতায় অন্যান্য বিমানের দ্বিগুণেরও বেশি এটি। ৪০০ যাত্রী বহনে সক্ষম এই উড়োজাহাজ বিমানভ্রমণের অভিজ্ঞতাই বদলে দেয়। সেই সাথে বদলে যায় ব্যস্ত সব বিমানবন্দর আর তার ব্যবস্থাপনা। ১৯৭০ সালের ২২ জানুয়ারি শুরু হয় সেভেন ফোর সেভেনের বাণিজ্যিক যাত্রা।
৫ দশকে বিপুল সাফল্য এনে দিলেও শুরুর দিকে এই জাম্বো জেটের কারণে দেউলিয়া হতে বসেছিল বোয়িং। এর পেছনে গবেষণায় বেরিয়ে গেছে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার। ইঞ্জিনের গোলোযোগও ভুগিয়েছে অনেক। আশির দশকের শেষভাগে নতুন ইঞ্জিন ও হালকা উপাদানের ব্যবহারের পর অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে বোয়িং সেভেন ফোর সেভেন।
বিজ্ঞাপন
উৎপাদন থেমে গেলেও বাজারে এখন সচল রয়েছে প্রায় সাড়ে চারশ বোয়িং সেভেন ফোর সেভেন। তাই উৎপাদন বন্ধ হলেও আরও অনেকদিন আকাশে উড়বে এই মডেলের বিমান।
একে