এডেন উপসাগরে একটি ব্রিটিশ তেলবাহী জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এতে জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় মার্লিন লুয়ান্ডা জাহাজকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
হামলার পর পরই দায় স্বীকার করেছে হুথিরা। লোহিত সাগর ও এর আশেপাশে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর এটিই তাদের সর্বশেষ হামলা। খবর বিবিসির
বিজ্ঞাপন
এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন এবং ইয়েমেনের বিরুদ্ধে মার্কিন-ব্রিটিশ যৌথ আগ্রাসনের জবাবেই এ হামলা চালিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: হুথিদের সামরিক শক্তি কেমন, ইয়েমেন কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
খবরে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেলবাহী জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। পরে অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। জাহাজটি মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের পতাকাবাহী ছিল।
এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ক্রুরা সতর্কতা হিসেবে লাইফবোটে চড়েছিল, তবে কোনো আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি। জাহাজটিতে ন্যাফথা নামক একটি দাহ্য তরল বোঝাই ছিল, যা আগুনকে আরও বিপজ্জনক করে তোলে।
বিজ্ঞাপন
নিরাপত্তাবিষয়ক সংগঠন ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন বা ইউকেএমটিও বলেছে, তারা একটি জাহাজ থেকে খবর পেয়েছে যে, বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং ওই জাহাজের অবস্থান থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে একটা ক্ষেপণাস্ত্র দেখা গেছে। জাহাজটি ইয়েমেনের এডেন শহর থেকে ১১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র জাহাজটিতে আঘাত করে। খবর পেয়ে মার্কিন নৌবাহিনী তাদের সাহায্যে এগিয়ে যায়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
এ ঘটনার পর ইউকে মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) অন্যান্য জাহাজকে সতর্কতার সাথে চলাচলের আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: হুথি দমনে লোহিত সাগরে কেন যুক্তরাষ্ট্রের পাশে নেই চীন?
গোষ্ঠীটির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, বেশ কয়েকটি নৌ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে জাহাজটিতে সরাসরি হামলা করা হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বর থেকে ইরান-সমর্থিত হুথিরা লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে। মূলত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে লোহিত সাগর দিয়ে চলাচল করা ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে তারা হামলা চালাচ্ছে।
একে