মালদ্বীপের কয়েকজন মন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। এরপরই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
যদিও মালদ্বীপ সরকার এই ঘটনাকে ব্যক্তিগত মতামত বলে উল্লেখ করেছে। এরই মধ্যে ওই তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছে মালদ্বীপ সরকার। তিন মন্ত্রী হলেন- মরিয়াম শিউনা, মালশা শরিফ ও আবদুল্লাহ মাহজোম মাজিদ। খবর বিবিসি ও এনডিটিভির
বিজ্ঞাপন
এই পোস্ট নিয়ে ভারতে এমনকি মালদ্বীপেও ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছিল। অনেক ভারতীয় তাদের মালদ্বীপ সফর বাতিল করেন।
আরও পড়ুন: বিলকিস বানু মামলা: ১১ ধর্ষককে জেলে ফেরানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
নয়া দিল্লিতে মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূতকে সোমবার তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নয়াদিল্লি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, মালেতে ভারতীয় হাইকমিশন রোববার মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি দৃঢ়ভাবে উত্থাপন করেছে।
মালদ্বীপ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ ভারতকে ‘অপমান’ করে দেওয়া কিছু পোস্টের বিষয়ে ভারত সরকারের অবস্থান সম্পর্কে মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকারি পদে থেকে যারা এ ধরনের পোস্ট দিয়েছেন, এখন তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের ছোট্ট ইউনিয়ন টেরিটোরি লাক্ষাদ্বীপ সফর করেন। পরে সেই সফরের কিছু ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে মোদির ডুবসাঁতার দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়। স্থানীয়ভাবে লাক্ষাদ্বীপে পর্যটন উৎসাহিত করতে মোদি সেখানে ভ্রমণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু
মালদ্বীপের তিন উপমন্ত্রী ও কয়েকজন নেতা ওই ছবি, ভিডিও নিয়ে মোদির বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করেন। মোদিকে ‘জোকার’, ‘সন্ত্রাসী’ এবং ‘‘ইসরায়েলের হাতের পুতুলও’ আখ্যা দেন তারা।
আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারিতে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর চীন সফরের কথা রয়েছে। তার আগে দিয়ে এমন ঘটনা ঘটল।
মুইজ্জু গতবছর মালদ্বীপে ‘ভারত প্রথম’ নীতির অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। দেশটিতে থাকা ভারতীয় সেনাদের দ্রুত দেশছাড়া করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
একে