শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ঢাকা

‘গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিকভাবে দায়ী’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

‘গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিকভাবে দায়ী’
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান (ফাইল ফটো)। ছবি: এএফপি

গাজা ও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিকভাবে দায়ী। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান এ মন্তব্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ বাদ্‌র আল-বুসাইদির সঙ্গে টেলিফোন আলাপে এ কথা বলেন আব্দুল্লাহিয়ান। টেলিফোনে দুই দেশের মন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইসরায়েলি সেনাদের বর্বর আগ্রাসন এবং সেখানকার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।


বিজ্ঞাপন


ওই সময় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওমান সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে ইরানের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে এবং সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট রায়িসি ও ওমানের সুলতান বিন হাইসাম তারিকের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে তা সঠিকভাবে বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলেছে।’

আরও পড়ুন: হামাসের জনপ্রিয়তা বেড়েছে: মার্কিন গোয়েন্দা বিশ্লেষণ

গত মে মাসে সুলতান হাইসাম তেহরান সফর করেন। সে সময় ইরান ও ওমানের মধ্যে অর্থনীতি, বিনিয়োগ এবং জ্বালানি খাতে অন্তত চারটি চুক্তি সই হয়।

ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যকার ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, গাজা উপত্যকায় দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন এবং সেখানে অবধারিতভাবে মানবিক সহায়তা পাঠানো জরুরি।


বিজ্ঞাপন


এদিকে গতকাল শেষ বেলায় ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি মহাসচিবকে টেলিফোন করেন আমির আব্দু্ল্লাহিয়ান। তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ওআইসির পক্ষ থেকে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন।

 এ সময় ওআইসি মহাসচিব হোসেইন ব্রাহিম তাহা ও ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। তারা দু’জনই বলেন, গাজায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ যে আগ্রাসন ও অপরাধযজ্ঞ চালাচ্ছে তা যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার সুস্পষ্ট উদাহরণ।

আরও পড়ুন: দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে গাজা: জাতিসংঘ

উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান পর্যন্ত জানায়নি।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০ হাজার ৫৭ জন। 

গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হতাহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। 

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫৩ হাজার ৩২০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।

ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’

সূত্র : আল-জাজিরা, প্রেস টিভি, মিডল ইস্ট আই

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর