মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

গাজায় ‘ভূগর্ভস্থ শহর’ খুঁজে পাওয়ার দাবি ইসরায়েলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

গাজায় ‘ভূগর্ভস্থ শহর’ খুঁজে পাওয়ার দাবি ইসরায়েলের
গাজায় মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার মানুষের। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা গাজায় হামাসের সিনিয়র নেতাদের ব্যবহার করা একটি টানেলের সন্ধান পেয়েছে, যেটাকে তারা ‘ভূগর্ভস্থ সন্ত্রাসী শহর’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) দাবি করেছে, সৈন্যরা ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং একে আল রিমাল এলাকার ফিলিস্তিন চত্বর এলাকায় গাজার বড় শহরের একটি ‘এলিট কোয়ার্টার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আইডিএফের আরও দাবি, কয়েক সপ্তাহের লড়াইয়ের পর গাজার সবচেয়ে বড় শহরের মধ্যে ওই এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছে তারা। খবর বিবিসির


বিজ্ঞাপন


তাদের ভাষ্য অনুযায়ী হামাসের ‘প্রশাসনিক ও সামরিক নেতৃত্ব’ এটি ব্যবহার করতো, যার মধ্যে হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া এবং সামরিক কমান্ডার ইয়ানিয়া সিনওয়ার এবং মুহাম্মদ দায়িফও রয়েছেন।

আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতিতে জাতিসংঘে নতুন উদ্যোগ, মত পাল্টেছে যুক্তরাষ্ট্র

আইডিএফ বলছে, ফিলিস্তিন চত্বর এলাকা হলো হামাসের কৌশলগত টানেল নেটওয়ার্কের কেন্দ্রস্থল, যেখান থেকে রানতিসি হাসপাতাল ও আল শিফা হাসপাতাল এলাকার ভূগর্ভস্থ অবকাঠামোর যোগসূত্র রয়েছে।

আইডিএফ বেশ কিছু টানেলে অনুসন্ধান করছে এমন কিছু ভিডিও এবং স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করলেও, কোন হাসপাতালের সাথে এর সম্পৃক্ততা প্রমাণ হয় এমন কিছু তারা এখনো সরবরাহ করতে পারেনি।


বিজ্ঞাপন


তাদের দাবি ‘ভূগর্ভস্থ সন্ত্রাসী শহরের’ প্রবেশমুখ খনন করা হয়েছে ‘সিনিয়র কর্মকর্তাদের আবাসিক ও অফিস এলাকায়’। এটি তাদের গাজা শহরের কেন্দ্রস্থলে দৈনন্দিন যাতায়াতে সুরক্ষা নিশ্চিত করতো।

আরও পড়ুন: হামাসের শক্তি দেখে অবাক সেনারা: ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞ

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে প্রায় ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। গত সাতই অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা চালানোর পর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ওই সামরিক অভিযান চালায় ইসরায়েল।

এরপর থেকে সাত দিনের যুদ্ধবিরতির সময়টি বাদ দিয়ে দিনে গড়ে প্রায় তিনশ করে মানুষ নিহত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক ইমার্জেন্সি ডিরেক্টর রিচার্ড ব্রেনান বলেছেন তিনি এ তথ্যকে বিশ্বাসযোগ্যই মনে করেন।

যুদ্ধ ক্ষেত্রে মৃতের সংখ্যা নির্ধারণ একটি কঠিন বিষয় এবং গাজার শহরের চিকিৎসকরা বলছেন মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ যাদের হাসপাতালে নেয়া যায়নি বা যারা ভবনের ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে মারা গেছে তাদের গণনা সম্ভব হয়নি।

হামাস-ইসরায়েলের বৈঠক সিদ্ধান্তহীন
কায়রোতে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার উপস্থিতিতে যে বৈঠক চলছে তা কোন ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়েছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন এর সাথে সম্পৃক্ত একজন সিনিয়র ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন: মন চাইলেই ফিলিস্তিনিদের বন্দী করছে ইসরায়েল, বাদ যাচ্ছে না শিশুও!

তিনি জানান, মিশর মানবিক সহায়তার জন্য আরেকটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করেছে কিন্তু একে সাময়িক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করে নাকচ করে দিয়েছে হামাস। তারা বলছে একটি চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতি না হওয়া পর্যন্ত আর কোন বিনিময় চুক্তি তারা করবে না।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর