জাপানে দুর্নীতির দায়ে পদ হারাচ্ছেন চার মন্ত্রী। এছাড়াও তাদের সঙ্গে রয়েছেন পাঁচ উপমন্ত্রীও। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা তাদেরকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকের খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও একটি রাজনৈতিক তহবিল কেলেঙ্কারির জেরে মন্ত্রিসভার বিভিন্ন মন্ত্রী এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা করছেন।
বিজ্ঞাপন
খবরে বলা হয়েছে, এই কেলেঙ্কারিতে প্রধানত ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সবচেয়ে বড় উপদলটি জড়িত। এটি একসময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের নেতৃত্বে ছিল।
আরও পড়ুন: ৫ মার্কিন সেনার লাশ পাওয়া গেছে
বরখাস্ত হতে যাওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন ফুমিও কিশিদার ‘ডান হাত’ হিসেবে পরিচিত মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো এবং অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী ইয়াসুতোসি নিশিমুরা। এই তালিকায় রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুনজি সুজুকি ও কৃষিমন্ত্রী ইচিরো মায়াশিতা। এ ছাড়া তালিকায় আছেন আরও পাঁচজন উপমন্ত্রী।
কিশিদা পাঁচটি প্রতিমন্ত্রী এবং ছয়টি সংসদীয় উপমন্ত্রী পদে রদবদল আনার পরিকল্পনা করছেন, যারা আবের উপদলের সদস্য।
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রী কিশিদা জাপানের বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
খবরে বলা হয়েছে, এই রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইয়েন (৩৪ লাখ ডলার) আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে বিস্তারিত কোনো কিছু না জানিয়ে বলেন, ‘জনগণের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী কিশিদা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’
আরও পড়ুন: জাপানে ছড়াচ্ছে বার্ড ফ্লু, মেরে ফেলা হবে ৪০ হাজার মুরগী
সংবাদকর্মীদের মাতসুনো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দলীয় তহবিল গঠনে বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের ভাবমূর্তি দ্যোদুলমান। আর এ কারণেই তিনি জনগণের আস্থা ফেরাতে প্রয়োজনীয় ও সঠিক ব্যবস্থা নেবেন।’
জাপানের পার্লামেন্টের বিরোধীদল এই ইস্যুকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এই প্রস্তাব সফল হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা, পার্লামেন্টে সরকারি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
একে

