শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ১৮,৪১২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০১ পিএম

শেয়ার করুন:

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে  ১৮,৪১২
গাজায় ইসরায়েলি হামলা। ছবি: এএফপি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮ হাজার ৪১২ জন। মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।

গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু। 


বিজ্ঞাপন


ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫০ হাজার ১০০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কী হচ্ছে?

গাজার সরকারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেন, গত ২৪ ঘন্টায়  ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২০৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ৪৫০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং সড়কে এখনও অনেক হতাহত মানুষ রয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত তিন লাখ ২৬ হাজার মানুষের খোঁজ পেয়েছি। আরও অনেক লোকের সংক্রামক রোগ হওয়ার শঙ্কা আছে।


বিজ্ঞাপন


ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি ভয়াবহ বিপর্যয়কর এবং সেখানে ইসরায়েল যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির ধ্বংসযজ্ঞের চেয়েও মারাত্মক।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির বিভিন্ন শহরে যে ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে তার চেয়ে বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গাজার শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে উদ্বাস্তু হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ পর্যায়ের এ কর্মকর্তা বলেন, গাজার ওপর ইসরায়েল যে আগ্রাসন চালাচ্ছে তাতে অসংখ্য বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছে। গাজার মানুষের দুর্ভোগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।

উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান পর্যন্ত জানায়নি।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে মরছে তাদের নিজেদের সেনারা!

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।

ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’

সূত্র : আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই, বিবিসি

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর