গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘের ১৩৩ কর্মীকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। তাদেরকে মূলত বিমান হামলা করে হত্যা করা হয়।
জাতিসংঘের ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি (ইউএনআরডব্লিউএ) শনিবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় ১৩৩ জন কর্মচারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি সামরিক অবস্থানে ফিলিস্তিনিদের ভয়াবহ হামলা
এ বৈশ্বিক সংস্থাটি টুইট করে জানিয়েছে, ‘গাজায় আমাদের কর্মীরা তাদের বাচ্চাদেরকে নিয়ে কাজ করতে যায়। যাতে করে তারা এটা বুঝতে পারে যে তাদের বাচ্চারা নিরাপদ বা একইসাথে তাদের সঙ্গে মারা যাবে।
ইউএনআরডব্লিউএ আরও বলেছে, গাজার বেসামরিক লোকদের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। আমরা এমন একটি অবস্থানে পৌঁছেছি - যা থেকে আর কখনও ফিরে আসা যাবে না।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইউএনআরডব্লিউএ-এর ১৩৩ কর্মী ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই মৃত্যুর সময় তাদের পরিবারের সঙ্গে ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে এক সপ্তাহের মানবিক যুদ্ধবিরতির শেষে ১ ডিসেম্বর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় পুনরায় সামরিক অভিযান শুরু করে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি জাহাজ আটকানোয় হুথিদের প্রশংসা করল ফিলিস্তিনিরা
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান পর্যন্ত জানায়নি।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৭০০ জন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।
গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।
ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’
সূত্র : আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই, আনাদোলু এজেন্সি
এমইউ