সমুদ্রে ইসরায়েলি জাহাজ আটকে দেওয়ায় ইয়েমেনের হুথিদের প্রশংসা করেছে ফিলিস্তিনিরা। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ খবর দিয়েছে।
প্রেস টিভি জানিয়েছে, ‘লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী ইসরায়েলের জাহাজ বা ইসরায়েলি নাগরিকদের মালিকানাধীন জাহাজ আটকের বিষয়ে ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন ও দেশটির সামরিক বাহিনী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার প্রশংসা করেছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।’
বিজ্ঞাপন
শনিবার এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, “আমরা মনে করি ইয়েমেনের পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত সাহসী ও শক্ত পদক্ষেপ।”
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি সামরিক অবস্থানে ফিলিস্তিনিদের ভয়াবহ হামলা
তাদের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “গত ৬৪ দিনে আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়ে গেছে যে ইসরায়েল ও আমেরিকান হানাদাররা - তাদের বিপক্ষে ইয়েমেনের এই সিদ্ধান্ত সঠিক।"
গাজা উপত্যকার ওপর ইসরায়েল যে অবরোধ সৃষ্টি করে রেখেছে তা ভেঙে ফেলার জন্য আরব ও মুসলিম দেশগুলোর প্রতি তাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনেরও আহ্বান জানিয়েছে হামাস। একইসাথে মার্কিন সমর্থনে ইসরায়েলি সেনারা গাজা উপত্যকায় যে গণহত্যা চালাচ্ছে তা প্রতিরোধে সহযোগিতা করার কথা বলেছে হামাস।
বিজ্ঞাপন
এর আগে ইয়েমেনের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারিয়ি বলেছিলেন, “লোহিত সাগর দিয়ে ইসরায়েলে গমনকারী যেকোনো জাহাজ হবে আমাদের বৈধ টার্গেট।”
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি অবরোধের কারণে খাদ্যদ্রব্যের মারাত্মক ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং সেখানকার অধিবাসীরা তীব্র কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এ অবস্থায় জেনারেল সারিয়ি বলেন, “যদি গাজাবাসী প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ সরবরাহ না পায় - তাহলে ইসরায়েলি পণ্যসামগ্রী বহনকারী জাহাজ হবে ইয়েমেনের সেনাবাহিনীর বৈধ টার্গেট। সে জাহাজ বিশ্বের যে দেশেরই হোক না কেন।”
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার প্রয়োজন: এরদোয়ান
৪ ডিসেম্বর তারিখে ইয়েমেনি সেনাবাহিনী লোহিত সাগরে দু‘টি ইসরায়েলি জাহাজে হামলা করেছিল। তখন ওই জাহাজগুলো বাব এল-মান্দেব প্রণালী অতিক্রম করার চেষ্টা করছিল।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর হামলার ভয়ে ইসরায়েলি শিপিং কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যেই তাদের নৌযানগুলোকে অন্য পথে চলাচল করতে বলেছে।
সূত্র : প্রেস টিভি
এমইউ