মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ১৫,৫২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ১৫,৫২৩
৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু। ছবি: আনাদোলু এজেন্সি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার ৫২৩ জন। রোববার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।

গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু। 


বিজ্ঞাপন


এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কেদরা বলেছেন, দখলদার সেনাদের হামলায় আহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৩১৬ জন।

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের হামলায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

নিহত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সংখ্যার বিষয়ে আল-কেদরা বলেন, ‘ইসরায়েলের হামলায় মোট ২৮১ চিকিৎসক ও ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হন। তাদের আক্রমণে ৫৬টি স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামো ও অ্যাম্বুলেন্স সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া ২০টি হাসপাতাল ও ৪৬টি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে ইসরায়েলি হামলায়।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী শনিবার আরও চারজন প্যারামেডিককে গ্রেফতার করেছে। কারণ তারা আহতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য দক্ষিণের খান ইউনিস থেকে উত্তর দিকে যাচ্ছিল।


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, ইসরায়েলিরা যেসব চিকিৎসক ও ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মীকে বন্দী করেছে তাদের মধ্যে আছেন দক্ষিণ গাজার অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের পরিচালক আনিস আল-আস্তাল এবং প্যারামেডিকস মুহাম্মদ আবু সামাক, হামদান আনাবা ও আবদেল করিম আবু গালি। 

ইসরায়েল এখনও গাজা উপত্যকার ৩৫ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে ধরে রেখেছে। তাদের মধ্যে আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের জেনারেল ডিরেক্টর মোহাম্মদ আবু সেলমিয়া রয়েছেন। এসব ফিলিস্তিনি বন্দীকে কঠোর অবস্থার মধ্যে নির্যাতন, ক্ষুধা এবং তৃষ্ণায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তিনি আরও নিশ্চিত করেছেন যে ৭ অক্টোবর থেকে গাজার মোট ৪০৩ আহত এবং অসুস্থ ব্যক্তিকে মিসরের সঙ্গে থাকা সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে ‍যাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: উত্তর গাজায় ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছে ৭০ শতাংশ ইসরায়েলি সেনা!

উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান পর্যন্ত জানায়নি। গাজায় এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ১৫,২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের বিমানবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।

ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি, আল-জাজিরা

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর