শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

সরকারি চাকরিজীবী পাত্রের কদর: জবরদস্তি বিয়ে বিহারে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৪২ পিএম

শেয়ার করুন:

সরকারি চাকরিজীবী পাত্রের কদর: জবরদস্তি বিয়ে বিহারে
পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বৈশালী জেলায়। ছবি: এনডিটিভি

ভারতের বিহারে সরকারি চাকরিজীবী পাত্রের কদর বেড়েছে। সেখানে অনেকে জবরদস্তি বিয়ের শিকার হচ্ছেন। এখন সরকারি চাকরিই ‘বিপদে’ ফেলছে বিহারের যুবকদের। 

এখন দেশটির এ অঞ্চলে সরকারি চাকরি পাওয়া যুবকদের তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। এ কারণে সরকারি চাকরি পাওয়ার পর অনেকে উচ্ছ্বসিত না হয়ে - আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।


বিজ্ঞাপন


এ ধরনের বিয়েকে ‘পাকদওয়া বিবাহ’ (বিয়ের জন্য অপহরণ) বলা হয়। ভারতের বিহারের বেশ কিছু অংশে এ ধরনের বিয়ে প্রচলিত আছে। তবে এটা দেশটির আইনে বেআইনি। তবে প্রথা হিসেবে এখনও এসব অপকর্ম চলছে।

আরও পড়ুন: তেলেঙ্গানা ও ছত্তিশগড়ে যেভাবে বিজেপিকে হারাবে কংগ্রেস 

এসব বিয়েতে মূলত, অল্পবয়সী এবং চাকরিজীবী (বিশেষ করে সরকারি চাকরিজীবী) যুবকদের অপহরণ করা হয়। এরপর তাদের বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়।

যে সব যুবতী নারীদের পরিবার যৌতুক দিতে অক্ষম, তারা সরকারি চাকরিজীবী যুবকদের অপহরণ করে এ ধরনের বিয়েতে বাধ্য করে।


বিজ্ঞাপন


বুধবার ভারতের বিহারে এ ধরনের একটি ঘটনা দেখা গেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রেপুরার একটি সরকারি স্কুলে সদ্য চাকরি পেয়েছিলেন গৌতম নামে এক যুবক। তার অভিযোগ, স্কুলে যখন ক্লাস নিচ্ছিলেন, সেই সময় পাঁচ থেকে ছয়জন জোর করে সেখানে ঢুকে পড়েন। তারপর তাকে মারধর করে অপহরণ করে নিয়ে যান।

গৌতমের আরও অভিযোগ, তাকে অপহরণ করে রাজেশ রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে শাসানো হয়, বিয়ে না করলে খারাপ পরিণতি হবে। তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিবাদ ধোপে টেকেনি। তারপরই তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রাজেশ রায়ের কন্যার সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। স্কুল থেকে গৌতমের অপহরণের খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ পেয়েই তল্লাশি শুরু করে স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা।

পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বৈশালী জেলায়।

আরও পড়ুন: ভারতের বনে মিললো বিরল কালো চিতাবাঘ

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গৌতমের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করা হয়। তারপরই নারায়ণপুরের ডেরপুরা গ্রামে অভিযান চালানো হয়। ওই গ্রামের একটি বাড়ি থেকে গৌতমকে উদ্ধার করা হয়। তার নববিবাহিত স্ত্রীও ছিলেন সেখানে। 

এর আগে ২০১৯ সালেও সরকারি চাকরিজীবী এক যুবককে অপহরণ করে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মামলা পরে আদালতে ওঠে। আদালত সেই বিয়েকে বেআইনি বলে জানায়।

সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস, এনডিটিভি

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর