সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

প্রথম সমকামী বিয়ে নিবন্ধন করলো নেপাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৫৭ পিএম

শেয়ার করুন:

প্রথম সমকামী বিয়ে নিবন্ধন করলো নেপাল
পশ্চিম লুমজুং জেলার কর্তৃপক্ষ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে মায়া গুরুং (৩৬) এবং সুরেন্দ্র পান্ডের (২৬) বিবাহ নিবন্ধন করেছে। ছবি: বিবিসি

নেপাল প্রথমবার সমকামী বিয়ের নিবন্ধন করেছে। তাদের এ পদক্ষেপকে এলজিবিটি অধিকারের জয় হিসেবে স্বাগত জানানো হয়েছে।

অনেক (সমকামী) দম্পতি এবং অ্যাক্টিভিস্টদের দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর নেপাল তার প্রথম সমকামী বিয়ের নিবন্ধন করেছে।


বিজ্ঞাপন


পশ্চিম লুমজুং জেলার কর্তৃপক্ষ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে মায়া গুরুং (৩৬) এবং সুরেন্দ্র পান্ডের (২৬) বিবাহ নিবন্ধন করেছে।

আরও পড়ুন: চীনা ফ্লু ও শ্বাসকষ্ট: ভারতের ছয় রাজ্যে সতর্কতা

দেশটির সুপ্রিম কোর্ট সমকামী দম্পতিদেরকে তাদের বিবাহ নিবন্ধনের অনুমতি দেওয়ার একটি অন্তর্বর্তী আদেশ জারি করার পাঁচ মাস পরে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

বর্তমানে তাইওয়ানই হচ্ছে এশিয়ার একমাত্র দেশ, যারা সমকামী বিয়েকে বৈধতা দিয়েছে।


বিজ্ঞাপন


মায়া গুরুং ও সুরেন্দ্র পান্ডে প্রায় এক দশক ধরে একসাথে আছেন। তারা ২০১৭ সালে একটি মন্দিরের অনুষ্ঠানে বিয়ে করেছিল এবং তখন থেকে তারা তাদের বিয়ের স্বীকৃতি চেয়েছেন।

গুরুং একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী, যিনি সরকারি নথিতে তার লিঙ্গ পরিবর্তনের বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি। অপরদিকে পান্ডে পুরুষ হিসেবে জন্মেছেন এবং নিজেকে পুরুষ বলেই পরিচয় দেন।

আরও পড়ুন: নিজের আইনজীবীকে দলের চেয়ারম্যান বানালেন ইমরান খান

১৩ জুলাই নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর একটি জেলা আদালত দেশটির সুপ্রিম কোর্টের আদেশ সত্ত্বেও তাদের বিবাহ নিবন্ধন করতে অস্বীকার করে। যদিও নেপালের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির সরকারকে সমকামী বিয়ের আইন পরিবর্তনের জন্য (নতুন) আইন প্রণয়ন না করা পর্যন্ত এই ধরনের বিবাহ নিবন্ধন করার নির্দেশ দিয়েছে।

তবে কাঠমান্ডুর জেলা আদালত যুক্তি দিয়েছিল যে নিম্ন আদালতগুলো আদেশটি মানতে বাধ্য নয়, কারণ সুপ্রিম কোর্ট কেবল সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে।

এদিকে বুধবার রয়টার্সকে দোর্দি গ্রামীণ পৌরসভার প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা হেম রাজ কাফলে বলেছেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টের আদেশ এবং প্রাসঙ্গিক সরকারি কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা বিবেচনায় নিয়ে এ সমকামী দম্পতির বিবাহ নিবন্ধন সার্টিফিকেট ইস্যু করেছি।

দেশটির শীর্ষস্থানীয় এলজিবিটি অধিকার কর্মী সুনীল বাবু পন্ত এ বিষয়ে বলেন, এটা দেশটির যৌন ও লিঙ্গ সংখ্যালঘুদের জন্য "ঐতিহাসিক" মুহূর্ত। তিনি এ পদক্ষেপকে এলজিবিটি অধিকারের জয় বলে আখ্যা দিয়েছেন।

সূত্র : বিবিসি

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর