চীনা সামরিক বাহিনীতে বিভিন্ন সংকট রয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী নানান ধরনের প্রাথমিক সমস্যা সমাধানের জন্য সংগ্রাম করছে।
একই সময়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর সীমান্তে ক্রমবর্ধমান চীনা আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে এটা মনে করা হচ্ছে যে দেশটি দ্রুত সামরিক আধুনিকীকরণের মাধ্যমে সশস্ত্র যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। যদিও এমন শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে, তবে বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন।
বিজ্ঞাপন
কারণ, চীনা সামরিক বাহিনীর মনোবল কম। তাদের প্রশিক্ষণ নিম্নমানের। তারা সামরিক সরঞ্জাম মেরামতের অভাব-সহ বেশ কয়েকটি সমস্যায় ভুগছে। এমনকি চীনা সেনাবাহিনী নিজেরাই জানিয়েছে যে তারা বিশ্বের অন্যান্য দক্ষ সামরিক বাহিনীর থেকে পিছিয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাইডেন-শির বৈঠকের বিষয়ে যা জানা গেল
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন তাইওয়ান প্রণালীতে সামরিক মহড়া বাড়িয়েছে। তারা প্রায়ই তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। একইভাবে দেশটি তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে আঞ্চলিক বিরোধ মোকাবেলা করার সময় ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে আক্রমণাত্মক সামরিক আচরণ করেছে।
বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে কয়েকটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) কিছু প্রাথমিক সমস্যা সমাধানের জন্য সংগ্রাম করছে। তারা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, চীনা সামরিক বাহিনী ১৯৭৯ সাল থেকে কোনো যুদ্ধে লিপ্ত হয়নি। যুদ্ধ না করার কারণে সামরিক অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা এবং আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে তাদের। এ বিষয়টি তারা নিজেরাই স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: চীনে কয়লা খনি কোম্পানি অফিসে অগ্নিকাণ্ড, মৃত ২৫
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সমন্বয় করতে পারছে না। তারা পরিকল্পনা, সামরিক সক্ষমতা এবং শত্রুকবলিত এলাকার কাছাকাছি জায়গা পরিদর্শনের মাধ্যমে শত্রুর শক্তি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট দুর্বল।
কয়েক সপ্তাহ আগে চীনের কমিউনিস্ট সরকারের মুখপত্র ‘পিএলএ ডেইলি’ দেশটির সামরিক বাহিনী থেকে দুর্নীতি নির্মূল করার পাশাপাশি চীনা সৈন্যদের মনোবল উন্নত করার কথা বলেছে। অপরদিকে দেশটির অধিকাংশ পরিবার তাদের সন্তানদের সেনাবাহিনীতে পাঠাতে আগ্রহী নয়। এ কারণে চীনের সামরিক বাহিনীতে লোকবলের ঘাটতি আছে।
চীনের এক-সন্তান নীতির কারণে তাদের সামরিক বাহিনীতে লোকবলের ঘাটতি দেখা দেয়। কারণ, কোনো চীনা বাবা-মা চান না যে তাদের একমাত্র সন্তান যুদ্ধে গিয়ে মারা যাক।
সূত্র : ডিরেকটাস
এমইউ