রোববার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ১১,৫০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:১৮ পিএম

শেয়ার করুন:

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ১১,৫০০
রাতেও গাজায় হামলা থামাচ্ছে না ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ছবি: আনাদোলু এজেন্সি

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৫০০ জন। বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।

গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চার হাজার ৭১০ জন শিশু এবং তিন হাজার ১৬০ জন নারী।


বিজ্ঞাপন


একটি বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হাসপাতালগুলোতে হামলা করায় মোট ২০০ চিকিৎসা কর্মী নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: গাজায় ফিলিস্তিনিদের হামলায় ২ ইসরায়েলি সেনা নিহত

গাজায় ২২ জন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী এবং ৫১ জন সাংবাদিকও নিহত হয়েছেন। সেখানে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ২৯ হাজার ৮০০ জন। আহতদের ৭০ শতাংশ শিশু এবং নারী।

এর আগে মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি আক্রমণে গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৩২০ জন। নিহতদের মধ্যে চার হাজার ৬৫০ জন শিশু এবং তিন হাজার ১৪৫ জন নারী।


বিজ্ঞাপন


বুধবারের বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ৯৫টি সরকারি ভবন ও ২৫৫টি স্কুল ধ্বংস হয়েছে। তিনটি গির্জা ছাড়াও প্রায় ৭৪টি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ১৬২টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ৫২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ৫৫টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস করেছে। তাদের হামলায় ২৫টি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: জিল বাইডেনকে চিঠি লিখেছেন নেতানিয়াহুর স্ত্রী, থামছে না যুদ্ধ

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের ভিতরে অনেক রোগী, আহত ব্যক্তি এবং বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের পাশাপাশি বেশ কিছু চিকিৎসা ও নার্সিং কর্মীদের ওপর আক্রমণ করেছে। তাদের পোশাক খুলতে বাধ্য করেছে এবং তাদের অপমান করেছে।

আল শিফা হাসপাতালের জেনারেল সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. মারওয়ান আবু সাদা বিবিসি আরবি বিভাগের ইথার সালাবিকে ফোনে জানিয়েছেন যে ৩৯টি নবজাতকের মধ্যে তিনটি ইতোমধ্যেই মারা গেছে।

এখন যারা বেঁচে আছে তাদের আসলে কোন অভিভাবক বেঁচে নেই কিংবা যুদ্ধের এই তাণ্ডবের মধ্যে তাদের কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।

ইসরায়েলের গোলাবর্ষণের পর দু’টি শিশুকে একেবারেই একা পাওয়া গিয়েছিল। আর চার শিশুর জন্ম হয়েছিল তাদের মায়েদের মৃত্যুর পর সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে।

তেল সংকটের কারণে শিশুগুলোকে ইনকিউবেটর থেকে সরিয়ে হৃদরোগ বিভাগের নবজাতক ইউনিটে রাখা হয়েছে বলে জানান মারওয়ান আবু সাদা।

সেখানে একটি বেডে ৮/১০টি শিশুকে রাখা হয়েছে এবং তাদের উষ্ণতার জন্য ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে।

পানির স্বল্পতার কারণে ডাক্তারদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ডা. সাদার আশংকা অপরিচ্ছন্ন অক্সিজেন টিউবের কারণে শিশুদের শরীরে সংক্রমণ থেকে পচন তৈরি হতে পারে।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি, বিবিসি

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর