ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ১০০ জন। বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে আট হাজারের বেশি শিশু এবং নারী রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
একটি বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হাসপাতালগুলোতে হামলা করায় এবং কোনো হতাহত ফিলিস্তিনিদের সেখানে প্রবেশে বাধা দেওয়ার কারণে - শনিবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মৃত ও আহতের সংখ্যার সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারেনি।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ‘দখলদার বাহিনী এক হাজার ১৩০টিরও বেশি গণহত্যা চালিয়েছে। এর ফলে ১১ হাজার ১০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন।
আরও পড়ুন: এবার গাজা দখলের হুমকি দিলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৮ হাজারের বেশি মানুষ আহত হন।
বিজ্ঞাপন
এই সপ্তাহের শুরুতে ‘নিয়ার ইস্টার্ন অ্যাফেয়ার্স’-এর সহকারী সেক্রেটারি অফ স্টেট বারবারা লিফ বলেছেন, গাজায় নিহতদের সংখ্যা সম্ভবত যা উদ্ধৃত করা হয়েছে তার চেয়েও বেশি।
অপরদিকে গাজা নিয়ে কোনো প্রস্তাব পাসের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা কয়েক সপ্তাহ ধরে ঐক্যমতে পৌঁছানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং এখন পর্যন্ত তাতে খুব বেশি আশার আলো দেখা যাচ্ছে না।
বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি হতাশা তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে ঘিরে। কারণ তারা গাজা নিয়ে কোনো প্রস্তাব পাসে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। জাতিসংঘে ইসরায়েলের সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র যুক্তরাষ্ট্র সেখানে কোনো রকমের যুদ্ধবিরতিরও বিপক্ষে।
এর আগে নিরাপত্তা পরিষদের ১২ জন সদস্যের সমর্থিত আরেকটা প্রস্তাবেও ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র, কারণ তারা মনে করে সেখানে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের ব্যাপারে যথেষ্ট শক্ত ভাষা ব্যবহার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইসরায়েলে বিক্ষোভ
এছাড়া রাশিয়া ও চীন যুক্তরাষ্ট্রের একটা প্রস্তাবে ভেটো দেয়। তারা বলে যে এটি যুদ্ধের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেওয়ার সবুজ সংকেত হিসেবে কাজ করবে। সব মিলেয়ে নিরাপত্তা পরিষদ এখন পর্যন্ত চারবার কোনো ঐক্যমতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুরো নিরাপত্তা পরিষদ এখন বিভক্ত।
সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি বিশেষ বৈঠক ডেকেছিল। কারণ তারা গাজার হাসপাতালে হামলা ও চিকিৎসা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নাটকীয়ভাবে ভেঙে পড়া নিয়ে তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য তুলে ধরে।
যে বক্তব্যের শেষে ডব্লিউএইচও’র প্রধান টেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসাস বলেন, বর্তমান সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে আরও একবার নিরাপত্তা পরিষদকে এক হতে হবে। তিনি কড়া সমালোচনা করে বলেন, এই কাউন্সিল যে উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেটি আর পালন করতে পারছে না, তিনি দ্রুত যুদ্ধবিরতির পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।
সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি
এমইউ