শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ব্যাপক ড্রোন হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৩ পিএম

শেয়ার করুন:

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ব্যাপক ড্রোন হামলা
ড্রোন (প্রতীকী ছবি)- গেটি ইমেজেস, আল-জাজিরা

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ব্যাপক ড্রোন হামলার দাবি করেছে হুথি গোষ্ঠী। তারা সোমবার জানিয়েছে, ইসরায়েলি অবস্থানে তারা অসংখ্য সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে হামলা করেছে।

হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গত কয়েক ঘণ্টায় ইসরায়েলের অনেক "সংবেদনশীল" অঞ্চলে ড্রোন হামলা করা হয়েছে। কিন্তু, ইসরায়েলের কোন কোন এলাকায় হামলা হয়েছে, তার বিশদ বিবরণ দেননি তিনি।’


বিজ্ঞাপন


হুথি সরকার নিয়ন্ত্রিত আরবি ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল আল-মাসিরা জানিয়েছে, ‘ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার প্রতিরোধকারী যোদ্ধাদের প্রতি সমর্থন জানানোর জন্য ইসরায়েলের কয়েকটি স্পর্শকাতর অবস্থানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী। ইয়েমেনি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা একসঙ্গে বহুসংখ্যক ড্রোন দিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। তাদের ড্রোন হামলার কারণে ইসরায়েলের বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটি এবং বিমানবন্দরের কার্যক্রম কয়েক ঘন্টার জন্য বন্ধ থাকে।’

আরও পড়ুন: ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার ৫৬ মসজিদ ধ্বংস

ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন বন্ধ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এবং ইয়েমেনের জনগণের দাবি পূরণ করতে ইসরায়েলের বিভিন্ন অবস্থানে হামলা অব্যাহত থাকবে।’

এর আগেও ইয়েমেনের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের ওপর কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। অবশ্য লোহিত সাগরে অবস্থানরত মার্কিন যুদ্ধজাহাজ থেকে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। এছাড়া সৌদি আরবও ইয়েমেনের একটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে বলে জানা গেছে।


বিজ্ঞাপন


গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরায়েলের বর্বর নিপীড়ন, হত্যাযজ্ঞ এবং পবিত্র আল-আকসা মসজিদের অবমাননার প্রতিবাদে ইসরায়েলের ভেতরে নজিরবিহীন সফল অভিযান চালায়। এরপর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকার ওপর নির্বিচারে টানা একমাস ধরে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলি বর্বরতায় এ পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যার মধ্যে বেশিরভাগ নারী ও শিশু।

ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’

অপরদিকে বিবিসির লাইভ রিপোর্টার স্যাম হ্যানকক বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, গাজা “খুব দ্রুত শিশুদের কবরস্থানে” পরিণত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: আলিগড়ের নাম পরিবর্তন করে 'হরিগড়' করবে যোগী সরকার!

সোমবার ভাষণ দেওয়ার সময় আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এই উপত্যকার পরিস্থিতি “মানবিক সংকটের তুলনায় বেশি কিছু হয়ে দাঁড়িয়েছে, এটি এখন মানবতার সংকটের পরিণত হয়েছে।”

হামাস ও ইসরায়েলের পরস্পরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরুর মাস পূর্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “শত শত মেয়ে ও ছেলে শিশু হয় নিহত হয়েছে না হলে আহত হয়েছে।”

গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার ৪৮৮ জন। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চার হাজার ২৩৭ জনই শিশু। 

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর পঞ্চম সপ্তাহ চলছে। কিন্তু এরপর এটি থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি, বিবিসি, আল-জাজিরা

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর