আজই চাঁদের বুকে নেমে আসবে ঘন কালো অন্ধকার। ফের একবার সূর্যাস্ত হবে সেখানে। তাপমাত্রাও নেমে আসবে -২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। ফলে আর নতুন করে সেখানে থাকা ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম এবং প্রজ্ঞান রোভারের জেগে ওঠার সম্ভাবনা প্রায় শেষ। তবে এটি আর না জাগলেও মিশন সফল বলে উল্লেখ করেছে ইসরো।
বৃহস্পতিবার চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য উদযাপনে গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরে যান ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। আগামী মিশনগুলোর জন্য সেখানে পূজা করেন তিনি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার
বিজ্ঞাপন
এ সময় ইসরো চেয়ারম্যান বলেন, 'চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করা আমাদের স্বপ্ন ছিল। ভগবান সোমনাথের আশীর্বাদে এই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। তার আশীর্বাদ ছাড়া এই সাফল্য পেতাম না আমরা। আর সে কারণেই আমি এই মন্দিরে এসেছি। আমার নামের মধ্যেও ঈশ্বরের ছাপ রয়েছে।'
আরও পড়ুন: কেন চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছে ভারত?
গুজরাটের ভেলাবল শহরের গির সোমনাথ জেলার এই মন্দিরে দাঁড়িয়ে এস সোমনাথ আরও বলেন, 'আগামী মিশনগুলোর জন্য আমাদের আরও শক্তির প্রয়োজন। চাঁদে ল্যান্ডিংও অত্যন্ত কঠিন কাজ ছিল। সামনে এমন আরও অনেক কঠিন কাজ রয়েছে। আর তাই আমাদের ভগবান সোমনাথের আশীর্বাদের প্রয়োজন রয়েছে।'
চাঁদে অবতরণের পর বহু ছবি ও ভিডিও পাঠিয়েছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। এরপর সেখানে রাত শুরু হয়। সেসময় ঘুমিয়ে পড়ে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোবট প্রজ্ঞান। ১৪দিন পর সেখানে দিন শুরু হলে ইসরো আবার এটিকে জাগিয়ে তোলার কাজ শুরু করে। কিন্তু প্রায় দুই সপ্তাহে সেটি সম্ভব হয়নি।
বিজ্ঞাপন
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভারের ঘুম ভাঙানোর জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শনিবার পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবে ইসরো। তবে মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডায় তাদের কলকব্জা সঠিকভাবে কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চাঁদের মাটিতে ‘ঘুমিয়ে পড়েছে’ ভারতের মুন রোভার
চাঁদে চন্দ্রযান-৩ তার সেকেন্ড ইনিংস শুরু করতে না পারলেও আক্ষেপ নেই ইসরোর। এস সোমনাথ বলেন, চন্দ্রযান-৩ যে সাফল্য অর্জন করেছে যা আশাতীত।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান-৩ কে। ৪০ দিন শেষে গত ২৩ আগস্ট চাঁদের সফলভাবে ল্যান্ডিং করে। পুনরায় জেগে না উঠলেও চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে চিরকাল রয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেছে ইসরো।
একে

