ইরান সফলতার সঙ্গে পৃথিবীর কক্ষপথে নুর-৩ ইমেজিং স্যাটেলাইট স্থাপন করেছে। বুধবার সকালে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ডিভিশন কাসেদ রকেটের সাহায্যে এই স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে। এটি ভূপৃষ্ঠের ৪৫০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে।
এই ইমেজিং স্যাটেলাইট কক্ষপথে সফলভাবে স্থাপন করার পর ইরানের যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী ইশা যারেপুর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, আইআরজিসর অ্যারেস্পেসের বিশেষজ্ঞদের প্রচেষ্টায় কিছুক্ষণ আগে নুর-৩ স্যাটেলাইট সফলভাবে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে। আমি ইরানের সমস্ত জনগণকে বিশেষ করে দেশের মহাকাশ গবেষণা শিল্পে জড়িত সবাইকে এবং আইআরজিসির বিশেষজ্ঞদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেল রফতানি খাতে ইরানের আয় বেড়েছে ৬৭ শতাংশ
তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ চলতি ফারসি বছর হবে ইরানের মহাকাশ গবেষণা শিল্পের জন্য বিশেষ ফলদায়ক।
বিশ্বের প্রথম সারির যে দশটি দেশ মহাকাশে স্যাটেলাইট স্থাপন করার ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে ইরান তার অন্যতম।
কাসেদ রকেটকে সাহায্যে আইআরজিসি ২০২২ সালের মার্চে স্যাটেলাইট নূর-২ এর পূর্ববর্তী সংস্করণ চালু করার জন্যও ব্যবহার করা হয়েছিল। এটিকে পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ৫০০ কিলোমিটার (৩১১ মাইল) কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছিল। নূর-১ ২০২০ সালে স্থাপন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
ইরানের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সমালোচনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা দাবি করেছে যে, দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও দূরপাল্লার অস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য এসব স্যাটেলাইট ব্যবহার করতে পারে ইরান।
আরও পড়ুন: ইরান ভূগর্ভস্থ বিমানঘাঁটি উন্মোচন করেছে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা তেহরানের প্রতি মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানো বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের দাবি, এর মাধ্যমে ইরান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছে।
তেহরান এই ধরনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি বলেছে, গবেষণা ও কৃষি কার্যক্রমে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
মার্কিন সরকার ড্রোন এবং সামরিক উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত ইরানের ব্যক্তি এবং সংস্থার উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
সূত্র: আনাদুলু এজেন্সি
একে

