জ্বালানি তেল রফতানি খাতে ২০২২ সালে রানের আয় বেড়েছে ৬৭ শতাংশ। দেশটির ওপর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এ খাতে তাদের আয় বেড়েই চলেছে। তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক এ তথ্য দিয়েছে।
এ সংস্থাটির বরাত দিয়ে ইরানের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ২০২২ সালে ইরান জ্বালানি তেল রফতানি করে ৪২.৬ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। অথচ দেশটি আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে এ খাতে আয় করে মাত্র ২৫.৫ বিলিয়ন ডলার।
বিজ্ঞাপন
ওপেকের পরিসংখ্যান বলছে, এর আগে ২০২০ ও ২০১৯ সালে ইরান যথাক্রমে ৭.৯ বিলিয়ন ও ১৯.৪ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি তেল রফতানি করেছিল।
এরপর ২০২২ সালে এ খাতে ইরানের আয় বেড়ে যায়। আমেরিকার কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এ সময় দেশটি ব্যাপক হারে জ্বালানি তেল রফতানি শুরু করে। মূলত, ওই নিষেধাজ্ঞার ভিত্তিতে ইরানের কাছ থেকে তেল ক্রয়কারী দেশ বা কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
২০১৮ সালে যখন মার্কিন সরকার ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে তখন তেল খাতে ইরানের আয় ৬০.৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছিল। তৎকালীন মার্কিন প্রশাসনের পাশাপাশি বর্তমান বাইডেন সরকারও ইরানের জ্বালানি তেল রফতানি শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার হুমকি দিয়েছিল।
সূত্র : প্রেস টিভি
বিজ্ঞাপন
এমইউ

