আর্মেনিয়াপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত কারাবাখের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পেয়েছে আজারবাইজান। সেখানকার দখলকৃত একটি অস্ত্রাগারের নিয়ন্ত্রণ নেয় আজারবাইজানের বাহিনী। এরই মধ্যে নিজের অঞ্চলকে বিদ্রোহীমুক্ত করতে আর্মেনিয়ান বসতি স্থাপনকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে দেশটি।
আরটির খবরে বলা হয়েছে, শনিবার আজারবাইজানীয় সামরিক বাহিনী স্নাইপার রাইফেল, শত শত কালাশনিকভ রাইফেল, রকেট চালিত গ্রেনেড এবং ক্রস চিহ্ন দিয়ে আঁকা চারটি ট্যাঙ্কসহ পদাতিক অস্ত্র প্রদর্শন করেছে। তারা জানিয়েছে যে, কারাবাখ অঞ্চলে অবৈধ আর্মেনিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানে এসব অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: যে কারণে আজারবাইজান সীমান্তে ব্যাপক সামরিক মহড়া চালাচ্ছে ইরান
আজারবাইজানের ২য় সেনা কর্পসের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইস বারখুদারভ বলেন, 'আমাদের বনে এরকম আরও অনেক কিছু আছে। কিন্তু আমরা সেগুলিকে এখানে আনতে পারব না।'
শুশা জেলা থেকে আজারবাইজানীয় কর্নেল আনার ইভাজভ বলেন যে, তারা নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনাকারী রাশিয়ান শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন।
আজারবাইজানীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে যে, এই অঞ্চলে অবৈধ আর্মেনিয়ান সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নিরস্ত্র করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এতে বলা হয়, জব্দ করা অস্ত্র ও গোলাবারুদের তালিকার মধ্যে রয়েছে- চারটি ট্যাংক, ১২টি হাউইটজার, ১২টি মর্টার, ৪৬৮টি মাইন, ৯৫৬টি চার্জ, ৪৪১টি মর্টার শেল, ২২টি গ্রেনেড লঞ্চার, ৪৬টি গ্রেনেডের শেল, ৩১৩টি ছোট অস্ত্র, ৬৬,২৪০টি গুলি এবং ৬২টি হ্যান্ড গ্রেনেড।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: আজারবাইজান দিয়ে রাশিয়ার তেল আনবে ইরান
আজারবাইজান বলেছে যে, তারা দেশটির সংবিধান এবং জাতিগত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা সহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বাধ্যবাধকতার সাথে সঙ্গতি রেখে কারাবাখের বাসিন্দাদের সমস্ত অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে।
আজারবাইজানীয় প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের কার্যালয় শনিবার বলেছে যে, কারাবাখের বাসিন্দাদের চিকিৎসা সেবা, খাদ্য ও অন্যান্য প্রধান জিনিসপত্র প্রদানের জন্য একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে।
একে

