ইরাকের প্রেসিডেন্ট আব্দুল লতিফ রশিদ মঙ্গলবার পুনরায় তুরস্কের আক্রমণের নিন্দা করেছেন। উত্তরের একটি বিমানঘাঁটিতে ওই তুর্কি হামলায় তিন কুর্দি কর্মকর্তা নিহত হওয়ার এক দিন পর তিনি এ বিবৃতি দেন। ওই কর্মকর্তারা উগ্রবাদবিরোধী লড়াইয়ে নিয়োজিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ফান্স-২৪ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরাকের সুলায়মানিয়ার আরাবাত বিমানবন্দরে সাম্প্রতিক তুর্কি হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে ইরাক। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরাকি প্রেসিডেন্ট আব্দুল লতিফ রশিদ বাগদাদে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করব: এরদোয়ান
তুরস্ক গতকাল বিকেলে ইরাকের আরাবাত বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ওই হামলায় ইরাকের উগ্রবাদবিরোধী বাহিনীর তিন সদস্য নিহত এবং অপর তিনজন আহত হয়েছেন।
ইরাকের সরকারি বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএ জানিয়েছে, ইরাকের প্রেসিডেন্টের দফতর আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে ঘোষণা করেছে, সুলাইমানিয়ার "আরবত" বিমানবন্দরে ড্রোন হামলার পর ইরাকি নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের তলব করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাগদাদে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূতকেও তলব করা হয়েছে।
ইরাকি প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে আরও বলা হয়েছে, প্রতিদিন ইরাকের ভূখণ্ডে বিশেষ করে কুর্দিস্তান অঞ্চলে নিয়মতান্ত্রিক সামরিক আক্রমণ চালানো হচ্ছে। তুরস্ক এ ব্যাপারে সামরিক কিংবা প্রতিরক্ষা বিষয়ক কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই হামলা তীব্রতর করে যাচ্ছে। এসব আগ্রাসনে নিরীহ বেসামরিক নাগরিক, সামরিক ও নিরাপত্তা ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: কত বড় দেশ তুরস্ক, এর অর্থনীতি ও সামরিক শক্তি কেমন?
ইরাকি প্রেসিডেন্টের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিভিন্ন শহর, জনগণ এবং সৈন্যদের ওপর ধারাবাহিক সামরিক হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং ভালো প্রতিবেশীসুলভ নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিশেষ করে এসব আক্রমণ ড্রোনের সাহায্যে চালানো হচ্ছে। আর ড্রোন হামলা শুধুমাত্র প্রকাশ্য যুদ্ধেই ব্যবহৃত হয়।
ইরাকি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আরও জানিয়েছে, উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরাক সবচেয়ে বড় মূল্য দিয়েছে। কারণ উগ্রবাদী সংগঠন আইএসআইএস ইরাকে কেবল লুণ্ঠন আর সন্ত্রাস চালিয়েই সন্তুষ্ট ছিল না। তারা প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর হামলা চালাতে ইরাকের মাটিও ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিল।
সূত্র : এএফপি, ফান্স-২৪
এমইউ