মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

পৃথিবী এবং চাঁদের সঙ্গে সেলফি তুলল ভারতের আদিত্য এল-১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

পৃথিবী এবং চাঁদের সঙ্গে সেলফি তুলল ভারতের আদিত্য এল-১
ছবি: ইসরো

সূর্য অভিযানের জন্য রওনা দিয়েছে ভারতের মহাকাশযান আদিত্য এল-১। গত ২ সেপ্টেম্বর ভারতের শ্রীহরিকোটা থেকে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে উৎক্ষিপ্ত হয়। এখনও এটি পৃথিবীর কক্ষপথে রয়েছে। ধীরে ধীরে পরিধি বাড়িয়ে প্রবেশ করবে সূর্যের নির্দিষ্ট এলাকায়।

চাঁদে সফলভাবে অবতরণের মাত্র দুই সপ্তাহ পর ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো তাদের প্রথম সৌর মিশন ‘আদিত্য এল-১’ মহাকাশযান সফলভাবে উৎক্ষেপণ করে। মহাকাশযানটির লক্ষ্য সৌরবায়ু ও পৃথিবীতে তাদের প্রভাব অধ্যয়ন করা।


বিজ্ঞাপন


এমন অবস্থার মধ্যে বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় সাড়ে এগারোটার দিকে আদিত্য এল-১ ওয়ানের পাঠানো ভিডিও পোস্ট করেছে ইসরো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স এ পোস্ট করা ছবির ক্যাপশনে ইসরো লিখেছে যে, পৃথিবী ও চাঁদের সঙ্গে সেলফি তুলেছে আদিত্য এল-১।

ইসরোর পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, একাপাশে বিশাল পৃথিবী দেখা যাচ্ছে। তার কিছু দূরে ছোট্ট বিন্দু হয়ে ধরা দিয়েছে চাঁদ।

১২৫ দিনের যাত্রা শেষে পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লাখ কিলোমিটার যাওয়ার পরে ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্টের চারপাশে একটি হ্যালো কক্ষপথে স্থাপিত হবে আদিত্য এল ১। সূর্য নিয়ে গবেষণায় এটিই ভারতের ইসরোর প্রথম অভিযান। সূর্যকে নিয়ে গবেষণায় এ মিশনের নাম দেয়া হয়েছে সুরিয়া।


বিজ্ঞাপন


সূর্যের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করবে আদিত্য। পরবর্তী চার মাস ধরে যাত্রা করে সূর্য আর পৃথিবীর মধ্যে একটি ‘হ্যালো’ কক্ষপথের ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট বা এল-১ পয়েন্টে স্থাপন করা হবে আদিত্যকে। ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্টকে সূর্যের পথে যাওয়ার মাঝে একটি পার্কিং লট বলে বর্ণনা করা হয়।

আরও পড়ুন: সূর্যের কত কাছে যাবে ভারতের আদিত্য এল-১?

পৃথিবী থেকে ওই ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্টের দূরত্ব ১৫ লক্ষ কিলোমিটার। এই দূরত্ব অবশ্য পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব, ১৫.১ কোটি কিলোমিটারের মাত্রই এক শতাংশ। তবে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগে মহাকাশযানটি পরবর্তী ১৬ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরবে।

ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট হল এমন একটি জায়গা, যেখানে সূর্য এবং পৃথিবীর আকর্ষণ ও বিকর্ষণ বল একসঙ্গে কাজ করে, ফলে এই অঞ্চলে পৌঁছে মহাকাশযান স্থির থাকতে পারে। উপগ্রহটি স্থির থাকার কারণে সামান্যই জ্বালানি লাগে। এমনকি সূর্যগ্রহণের সময়েও সূর্যের দিকে নজর রেখে বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট থেকে।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর