শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ঢাকা

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে ফের অভিযান, অনুমতি দিতে নারাজ যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০৬:০৫ এএম

শেয়ার করুন:

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে ফের অভিযান, অনুমতি দিতে নারাজ যুক্তরাষ্ট্র
আটলান্টিকের তলদেশে পড়ে আছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। ছবি: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

সম্প্রতি আটলান্টিকের তলদেশে থাকা টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণত হয় সাবমেরিন টাইটান ও এর পাঁচ যাত্রীর। এর থেকে শিক্ষা নিয়ে এমন অভিযান বন্ধ করার চেষ্টা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চুক্তি ও স্থানীয় আইনকে হাতিয়ার করছে জো বাইডেন প্রশাসন।

সম্প্রতি টাইটানিকর ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের পরিকল্পনা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার আরএমএস টাইটানিক ইনকর্পোরেটেড নামের বেসরকারি সংস্থা। বিশ্বের বিখ্যাত জাহাজগুলোর ভগ্নাবশেষ উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুনিয়া জোড়া খ্যাতি রয়েছে এই সংস্থার। টাইটানিকের খোল থেকে রুপার পাত্র তুলে আনার পরিকল্পনা করেছেন তারা।


বিজ্ঞাপন


কিন্তু এতে আপত্তি রয়েছে মার্কিন সরকারের। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ১০০ বছরের বেশি ধরে বিলাসবহুল জাহাজটির ভগ্নাবশেষ উত্তর আটলান্টিকের গভীরে পড়ে থাকায় সেখানকার পরিস্থিতি কবরখানার মতো হয়ে গেছে। এই অবস্থায় টাইটানিকর থেকে ঐতিহাসিক সামগ্রী উদ্ধার করতে গেলে বড় দুর্ঘটনা হতে পারে। সেই কারণেই এই অভিযানে আপত্তি জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

আরও পড়ুন: টাইটানিকের আশপাশের পানি কেন এত বিপজ্জনক?

চলতি বছরের মে মাসে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে ঐতিহাসিক সামগ্রী উদ্ধারের পরিকল্পনা করে জার্জিয়ার বেসরকারি সংস্থা। সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করে প্রথমে জাহাজটির ছবি তোলা ও পরে সেখান থেকে ধীরে ধীরে সামগ্রীগুলোকে বের করে আনা হবে বলে জানান তারা। কিন্তু টাইটানিক ব্রিটিশ সংস্থার জাহাজ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে মামলা গড়ায় আদালতে।

খবরে বলা হয়েছে, জর্জিয়ার সংস্থার তরফে টাইটানিকের খোল ফুটো করে সেখান থেকে ঐতিহাসিক সামগ্রী পুনরুদ্ধারের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের নিরিখে যা করা অসম্ভব বলে পালটা যুক্তি দিয়েছেন সরকারি আইনজীবী। এছাড়া টাইটানিকের থেকে উদ্ধার হওয়া ঐতিহাসিক নিদর্শনের মালিকানা কারা পাবেন, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।


বিজ্ঞাপন


গত জুনে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে ভয়ংকর দুর্ঘটনার মুখে পড়ে ডুবোযান টাইটান। আটলান্টিকের গভীরে পানির অতিরিক্ত চাপে বিস্ফোরণে ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে যায় সেটি। এর জেরে তিন অভিযাত্রীসহ প্রাণ হারান পাঁচ জন। সেই ঘটনার পর থেকে টাইটানিক অভিযান চিরতরে বন্ধ করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন: টাইটানিকের পাশে সলিলসমাধি টাইটানের

উল্লেখ্য, ১৯১২ সালে ইংল্যান্ডের সাউথহ্যাম্পটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে যাত্রা করে টাইটানিক। যাত্রাপথে উত্তর আটলান্টিকে বিরাট এক হিমশৈলে ধাক্কা লাগে। এর ফলে ডুবে যায় তৎকালীন যুগের সবচেয়ে বড় ও বিলাশবহুল জাহাজ টাইটানিক। দুর্ঘটনায় যাত্রী ও নাবিক মিলিয়ে দেড় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। জাহাজটি কখনই ডুববে না বলে দাবি করেছিল ব্রিটিশ নির্মাণকারী সংস্থা।

সূত্র: ইয়াহু নিউজ

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর