রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে খাবার অর্ডার করে বেশিক্ষণ বসে থাকতে চান না ভোজনরসিকরা। তারা দ্রুত তাদের অর্ডারকৃত খাবার যেনো দ্রুত ডেলিভারি দেওয়া হয়। কিন্তু আজ আপনাকে বিশ্বের এমন একটি রেস্তোঁরা সম্পর্কে বলা হবে যেখানে খেতে যেতে চাইলে হাতে ভরপুর সময় দরকার। মানে কোনও এক শুক্রবার মধ্যাহ্নভোজের জন্য খাবার টেবিল বুক করতে গেলে অপেক্ষা করতে হবে কমছে কম চার বছর। শুনতে অবাক লাগলেও কথাটা সত্যি।
বিজ্ঞাপন
যুক্তরাজ্যে এমন একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে যেখানে টেবিল বুক করতে চাইলে কম করে চার বছর পর আগে থেকে প্রস্তুত নিতে হয়। যুক্তরাজ্য বা ইউনাইটেড কিংডমের সেন্ট্রাল ব্রিস্টলে-তে অবস্থিত রেস্তোরাঁটির নাম দ্যা ব্যাংক টার্ভান রেস্টুরেন্ট। টেবিল বুকিংয়ের দিক থেকে এটি বিশ্বের ব্যস্ততম রেস্তোরাঁ।
প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে এগিয়ে কোন রেস্তোরাঁ?
গ্রাহকদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করানোর ক্ষেত্রে রেস্তোরাঁগুলোকে নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছিল বিজনেস পেমেন্ট প্রোভাইডার ডোজো। সেই সমীক্ষায় সকলকে পিছনে ফেলে দিয়ে এক নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে দ্যা ব্যাংক টার্ভান। এই রেস্টুরেন্টটি কিন্তু বেশ ছোটই। এবং বর্তমানে এখানে শুধু রবিবারের দুপুরের খাবারের জন্য টেবিল বুক করতেই অপেক্ষা করতে হয় চার বছর।
বিজ্ঞাপন
এখানকার খাবারের মেনু শুনতে চমকে উঠবেন। এখানে ৩০ দিন বয়সী গরুর মাংস, মধু এবং রোজমেরিতে ভাজা ভেড়ার পা, আলুর তরকারি, ডাল এবং রুটি পরিবেশন করা হয়।
যদিও এই রেস্তোরাঁটি তার রবিবারের স্পেশাল মেনুর জন্য বেশি বিখ্যাত। সানডে স্পেশাল মেনুতে থাকে গ্রিক স্কুইড বল, মুসুরির ডাল, ম্যাপেল সিরাপ গ্লেজ। ডেজার্টে থাকে রাস্পবেরি দই পানা কোটা এবং গুজবেরি স্পঞ্জের সঙ্গে স্ট্রবেরি এবং সাদা চকোলেট।
এই রোস্তোরাঁয় খাওয়ার খরচ কেমন?
যেমন নাম, তেমনই দাম। এই রেস্তোরাঁটি গত কয়েক বছরে এতটাই বিখ্যাত হয়ে উঠেছে যে এখানকার খাবারের দামও অনেকটা বেশি। থ্রি কোর্ট লাঞ্চের জন্য জনপ্রতি খরচ পড়বে তিন হাজার টাকারও বেশি। দুই কোর্সের খাবারের জন্য খরচ পড়বে আড়াই হাজার টাকা। এখানে দুপুরের খাবার খেতে গেলে দুপুর ১২টা থেকে ৪টার মধ্যে যেতে হবে।
রেস্তোরাঁটি বন্ধ হতে হতে বেঁচে গেছে
এই রেস্তোরাঁটি তৈরি হয়েছিল ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে। এর পর থেকে এখানে একাধিক দাঙ্গা এবং দুটি বিশ্বযুদ্ধ ঘটে গেছে। বলাবাহুল্য এর আঁচ লেগেছিল এই রেস্তোরাঁয়।
যদিও সবকিছু সামলে আজও এই রেস্তোঁরা আগের মতোই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। লন্ডন থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পথের দূরত্বে অবস্থিত এই রেস্তোরাঁ।
প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এই রেস্তোরাঁয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছে থাকলে চার বছরের ধৈর্য্য ধরতে হবে। কারণ এখান সব টেবিল এখন ভর্তি আছে।
এজেড