অবৈধ ও অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধে আগামীকাল সোমবার (২৯ আগস্ট) থেকে আবারও কঠোর অভিযান নামছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আগের অভিযানের পর যারা নিবন্ধন পায়নি এমন হাসপাতালও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালাতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে।
রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এই কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, প্রথম দফায় অভিযান পরিচালনা শেষেও এখনও অসংখ্য অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়ে গেছে। আগামীকাল থেকে আবারও কঠোর অভিযান পরিচালনা করবো। যেভাবে তিন মাস আগে অভিযান পরিচালনা করেছি, এখনও সেভাবেই হবে। ২৯ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান আগামী এক সপ্তাহ চলবে।
আরও পড়ুন: ওষুধের অধিক ব্যবহার: প্রয়োজনীয়তা নাকি নির্ভরশীলতা
আগের অভিযানের বিষয়ে তিনি জানান, এখন থেকে তিন মাস আগে অবৈধ হাসপাতালগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছি। তখন বলেছিলাম তিন মাস পর আপনাদের অবহিত করবো। আজ সে উদ্দেশ্যেই আপনাদের ডেকেছি। সে সময়ে সর্বমোট ১৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। আমরা তিন মাস সময় দিয়েছি। এই সুযোগ যারা নেয়নি এবং এর মধ্যে যারা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি কিংবা যারা আবেদন করেও যারা নিবন্ধন পায়নি তারা হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিক খোলা রাখতে পারবে না। যারা নিবন্ধন পায়নি তাদের কার্যক্রম এখনও ত্রুটিপূর্ণ।
আহমেদুল কবির বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে আলাদা করতে পারবো। এরপরের অভিযান হবে যারা নিবন্ধিত হয়েছে তাদের কার্যক্রমের মান কেমন তা দেখবো। এরপর নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে এ, বি, সি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে এবং তা আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। যাতে মানুষ জানতে পারে কোন হাসপাতাল কোন মানের।
আরও পড়ুন: বিদেশমুখিতা কমাতে দেশেই বিশ্বমানের হাসপাতাল, উদ্বোধনের প্রস্তুতি
এছাড়া অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত কোনো চিকিৎসক কাজ করলে তার বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান অধ্যাপক আহমেদুল কবির।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগের অভিযানে মোট এক হাজার ৬৪১টি হাসপাতাল বন্ধ করা হয়েছিল। এসব হাসপাতালে অভিযানকালে মোট ২৫ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৭ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। একইসঙ্গে এই তিন মাসের সময়ে নতুন নিবন্ধিত হয়েছে এক হাজার ৪৮৯টি, নবায়ন হয়েছে দুই হাজার ৯৩০টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স। নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষমাণ আছে এক হাজার ৯৪৬টি এবং লাইসেন্স নবায়নের অপেক্ষায় আছে দুই হাজার ৮৮৭টি। এছাড়া নতুন করে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে দুই হাজার হাসপাতাল ও ক্লিনিক।
এমএইচ/জেবি

