বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বছরজুড়ে আলোচনায় ডেঙ্গু, চিকিৎসকদের কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে পদোন্নতিতে

সাখাওয়াত হোসাইন
প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম

শেয়ার করুন:

S
প্রথম ছবিতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি একটি হাসপাতালের চিত্র, দ্বিতীয়টিতে আন্দোলনে স্বাস্থ্যকর্মীরা, তৃতীয়টিতে আন্দোলনে ট্রেইনি চিকিৎসকরা।
  • ধাপে ধাপে পদোন্নতি
  • ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা বৃদ্ধি
  • স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা
  • বছর জুড়ে আলোচনায় ডেঙ্গু

২০২৫ সালে দেশের স্বাস্থ্যখাত ছিল সংস্কার, সংকট ও আন্দোলনের মিলিত চিত্র। একদিকে দীর্ঘদিন পদোন্নতি বঞ্চিত হাজারো চিকিৎসকের ধাপে ধাপে পদোন্নতি ও ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা বৃদ্ধি স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি ফেরানোর বার্তা দিয়েছে, অন্যদিকে ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার ও স্বাস্থ্য সংস্কারের ধীরগতি প্রশ্ন তুলেছে রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতি ও অগ্রাধিকার নিয়ে। 


বিজ্ঞাপন


চিকিৎসকদের মনোবল বাড়াতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০২৫ সালে ধারাবাহিকভাবে সুপারনিউমারারিতে পদোন্নতি ও পদায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। জুনিয়র কনসালটেন্ট থেকে অধ্যাপক পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে সাত হাজারের বেশি চিকিৎসক পদোন্নতি পান, যাদের অনেকেই বছরের পর বছর রাজনৈতিক কারণে বঞ্চিত ছিলেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা করা হয়, যা দীর্ঘ আন্দোলনের পর বাস্তবায়িত হয়।

তবে ইতিবাচক এই উদ্যোগগুলোর মাঝেই বছরজুড়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। সরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে চার শতাধিক মানুষের। বর্ষা মৌসুমের গণ্ডি পেরিয়ে সারা বছর ডেঙ্গুর সংক্রমণ চলতে থাকায় নগর ব্যবস্থাপনা, জনস্বাস্থ্য পরিকল্পনা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

ধাপে ধাপে পদোন্নতি

২০২৫ সালে চিকিৎসকদের মনোবল বৃদ্ধি ও কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে বছর জুড়েই ধাপে ধাপে পদোন্নতি ও পদায়ন দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে আনন্দ ও কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছেন চিকিৎসকরা। যোগ্যতা অনুসারে জুনিয়র কনসালটেন্ট পদে, কাউকে সহকারী অধ্যাপক, কাউকে সহযোগী অধ্যাপক বা অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। কখনো ৯৪২ চিকিৎসকের পদোন্নতি, ২৮৭ চিকিৎসককে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বা ৫৯৩ চিকিৎসককে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। 


বিজ্ঞাপন


সবমিলিয়ে বছর জুড়ে বছরের পর বছর কোনো পদোন্নতি না পাওয়া সাত হাজারেরও বেশি চিকিৎসক পদোন্নতি পেয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরেরর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কারণসহ নানা কারণে পূর্ববর্তী সরকারের আমলে এই চিকিৎসকদের অনেককেই পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছিলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। আমরা যোগ্য মানুষকে যোগ্য জায়গায় বসিয়ে দেশের স্বাস্থ্যখাতের পরিবর্তন করতে চাই। জুলাই আন্দোলনে শহীদরা দেশের জন্য যা চেয়েছিলেন, আমরা তার বাস্তবায়ন করতে এসেছি। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা বৃদ্ধি

২০২৫ সাল জুড়ে চিকিৎসকদের ভাতা বৃদ্ধিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার মধ্যে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনিদের ভাতা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। যা আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবির প্রেক্ষিতে কার্যকর হয়েছে। ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে আরও ৫ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে মোট ৩৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এই ভাতা বৃদ্ধি মূলত চিকিৎসকদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও দাবির ফলস্বরূপ কার্যকর হয়েছে।

ভাতা বৃদ্ধির আন্দোলনের বিষয়ে ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটির সভাপতি ডা. জাবির হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেছিলেন, ‘গত দুই বছর ধরে আমরা আমাদের ভাতা পাওয়ার জন্য আন্দোলন করে আসছি। সবাই বলছে আমাদের দাবি ন্যায্য। তবে রাজপথে না নামলে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সে কারণে আমরা রাজপথে আন্দোলন করতে বাধ্য হই।’

স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা

দেশের স্বাস্থ্যখাত সংস্থারে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়, ২০২৫ সালে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার মাধ্যমে শেষ হয় এই কমিশনের কাজ। গত ৫ মে জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বাধীন ১২ সদস্যের কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও জনবান্ধব করতে ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সংস্কারের সুপারিশ করা হয়। এতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত এবং সর্বজনীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিনামূল্যে প্রদানের সুপারিশ করা হয়।

যদিও চলতি বছরের বাজেটে কমিশনের সুপারিশ রাখা হয়নি। স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশে বলেছে, জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে ১৫ শতাংশ বরাদ্দ স্বাস্থ্য খাতে থাকা উচিত। অন্তর্র্বতী সরকার ২০২৫–২৬ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রেখেছে জাতীয় বাজেটের ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। 

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার ও অনির্বাচিত অন্তর্র্বতী সরকারের মধ্যে বিশেষ কোনো পার্থক্য দেখা যাচ্ছে না। ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ৪১ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা; অর্থাৎ ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

২০২৪–২৫ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ছিল জাতীয় বাজেটের ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। গত কয়েকটি বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ ৫ শতাংশের আশপাশে থেকেছে। অন্তর্র্বতী সরকারের কাছ থেকেও ব্যতিক্রমী, অর্থাৎ স্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ বৃদ্ধি দেখা গেল না। এছাড়া কমিশনের সুপারিশ এখনো দৃশ্যমান হয়নি। তবে কবে থেকে আশার আলো দেখবে সেটি নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে।

বছর জুড়ে আলোচনায় ডেঙ্গু

২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বছর জুড়ে আলোচনায় ছিল ডেঙ্গু। কিছু দিন পর পর বেড়েছে ডেঙ্গুর উত্তাপ, কখনো কখনো ভয়ানক রূপ ধারণ করে কেড়ে নিয়েছে অসংখ্য মানুষের প্রাণ। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে চার শতাধিক মানুষের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকৃত আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়েও বেশি হতে পারে। কারণ সব রোগী ও মৃত্যুর তথ্য জাতীয় পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

এ বছর ডেঙ্গুর বিস্তার, সময়কাল এবং তীব্রতা- সব দিকই ছিল আগের বছরগুলোর চেয়ে ভিন্ন। আগের মতো বর্ষা মৌসুমে সীমাবদ্ধ না থেকে ডেঙ্গু বছরজুড়েই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এতে ডেঙ্গু মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতি, সমন্বয় ও পরিকল্পনায় মৌলিক ঘাটতি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত এক লাখ দুই হাজার ৬৭৩ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ নারী। সেই সঙ্গে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত এক লাখ এক হাজার ৫৩১ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গুতে ৪১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আগের বছর ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। তার আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আইইডিসিআরের তথ্য বলছে, সাধারণত যে সময় ডেঙ্গু কমে যাওয়ার কথা, সেই সময়েই চলতি বছর সংক্রমণ বেড়েছে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা এর পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, দীর্ঘসময় উষ্ণ আবহাওয়া, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং নগর পরিবেশে পানি জমে থাকার প্রবণতাকে দায়ী করছেন। অপরিকল্পিত নগরায়ন ও দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। এসব কারণে এডিস মশার প্রজননকাল দীর্ঘ হয়েছে এবং ডেঙ্গু কার্যত সারাবছরের রোগে পরিণত হয়েছে।

সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয় ২০০০ সাল থেকে। এরপর গত ২৫ বছরে আমরা ঢাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। আরও যে কত বছর লাগবে সেটাও জানা নেই। ঢাকার বাইরে পাঁচ গুণ মানুষ বসবাস করেন। সুতরাং মশা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে রোগটি আগামী ৩০ বছর থাকবে, এটা খুব সহজে অনুমান করা যায়।’

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘ডেঙ্গুর মৃত্যু কমাতে হলে চিকিৎসাব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। প্রাথমিক, মধ্যম ও জটিল; সব রোগের চিকিৎসা হচ্ছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা বড় হাসপাতালগুলোতে। এই হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক বাড়ালেও বাড়ে না রোগীর বেড। নেই আইসিইউর (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ব্যবস্থা, যা আছে তাতে সব রোগীর হয় না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই আছে ডেঙ্গুর লক্ষণে ভোগেন, কিন্তু টেস্ট করান না। হাসপাতালে গেলে অনেক সিরিয়াল, হয়রানি। দেশের অনেক মানুষ দরিদ্র, চিকিৎসা করার মতো টাকা থাকে না। হঠাৎ করে একদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরীক্ষা করে দেখেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত; তখন অনেকটা দেরি হয়ে গেছে।’

স্বাস্থ্যকর্মীদের নানা আন্দোলন

চলতি বছরের শুরু থেকে নানা দাবি নিয়ে মাঠে ছিলেন চিকিৎসক থেকে নার্স, মেডিকেল টেকনিশিয়ান; সব ধরনের স্বাস্থ্যকর্মীরা। কখনো পদোন্নতি, কখনো নিয়োগ, আবার কখনো নিয়োগ বা চাকরি স্থায়ীকরণসহ যৌক্তিক-অযৌক্তিক নানা ইস্যু নিয়ে মাঠে সরব ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সর্বশেষ নভেম্বরেও দশম গ্রেডসহ ৬ দাবিতে মাঠে সক্রিয় ছিলেন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা।

তাদের বক্তব্য, করোনাকালীন সময় থেকে এখন পর্যন্ত মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করে যাচ্ছে। দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হলে এই পেশায় মেধাবীরা উৎসাহিত হবে এবং স্বাস্থ্যসেবায় আরও মান বাড়বে।

এছাড়া চাকরি স্থায়ীকরণ ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রধান ফটকসহ নানা জায়গায় কর্মসূচি পালন করেছে কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপারডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের আউটসোর্সিং কর্মীরা। 

তাদের দাবি, মহামারির সময় ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিলেও এখন তারা অবহেলার শিকার হচ্ছেন। তারা বলছেন, নতুন করে দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, এ অবস্থায় দক্ষ ও প্রশিক্ষিত এই জনবলকে কাজে না লাগালে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।

স্বল্প সময়ে বিসিএসের আয়োজন

তূণমূল পর্যায়ে চিকিৎসক সংকট কাটাতে ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিসিএস ৪৮তম (বিশেষ) স্বাস্থ্য ক্যাডারের পরীক্ষার আয়োজন করে ফলাফল প্রকাশের ব্যবস্থা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার চিকিৎসককে সুপারিশ করা হয়েছে নিয়োগের জন্য। শিগগরিই বাকি কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে শোনা যাচ্ছে। 

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে এই বিসিএস কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখন বাকি গেজেট প্রকাশ আর পদায়ন করা। 

এসএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর