নিয়মবর্হিতভাবে চাকরিচ্যুতদের পুর্নবহাল এবং ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও ট্রেজারারের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঢাকার শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত এই হাসপাতালের সামনে তারা মানববন্ধন করেন । মানববন্ধনে অধ্যক্ষ ও পরিচালকেরও অপসারণ চাওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে ফ্যাসিস্ট তমাল মনসুর শহীদ মনসুর আলী ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও ট্রেজারার পদ অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। এক ব্যক্তি একই সঙ্গে দুই পদে থাকার কোনো বিধান নেই। অথচ তমাল মনসুর অবৈধভাবে দুই পদ দখল করে আছেন। জুলাই অভ্যূত্থানের সময়ে তমাল মনসুর আহতদের চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়।
তারা বলেন, জাতীয়তবাদী চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা যারা আহতদের চিকিৎসা দিয়েছিলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিয়মবর্হিভূতভাবে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। অবিলম্বে সব চিকিৎসক, শিক্ষক, কমকর্ত ও কর্মচারীদের চাকরিতে পুর্নবহাল করতে হবে। সেইসঙ্গে ট্রাস্টের পলাতক তমাল মনসুর এবং তার মা লায়লা আনজুমান ও মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং পরিচালককে অপসারণ করতে হবে।
শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের রেজিষ্ট্রার ডা. মো. রেজাউল হক বলেন, অভ্যূত্থানের সময় ফ্যাসিস্ট তমাল মনসুর ও তার মা লায়লা আঞ্জুমান আহতদের চিকিৎসায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেয়। সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আমরা চিকিৎসা দেই। সে কারণে ৫ আগস্টের পর জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের চাকরিচ্যূত করা হয়।
রেজাউল হক বলেন, ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী সেবার মান অত্যন্ত নিম্নমানের বানিয়েছে। আমাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) মঙ্গলবার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরির্দশনে আসে। এটি টের পেয়ে জনপ্রতি এক হাজার টাকা দিয়ে তারা আগে থেকে কিছু ভাড়াটে রোগী নিয়ে এসেছে।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন হাসপাতালটির চাকরিচ্যুত ফিজিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মেরিনা সুলতানা, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. দীনা এ এস হোসাইন, মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল ফারুক, সার্জারী বিভাগের রেজিষ্ট্রার ডা. মো. রেজাউল হক, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র লেকচারার ডা. আনজিরা ফারাহ লিনজা, মেডিসিন ইউনিট-১ এর সহকারী রেজিষ্ট্রার ডা. রায়হান আহম্মেদ এবং অপথালমোলজি বিভাগের সহকারী রেজিষ্ট্রার ডা. ফারহানা কাসেমী প্রমুখ।
এসএইচ/ক.ম

