সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নিকডু হবে কিডনি চিকিৎসায় দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

নিকডু হবে কিডনি চিকিৎসায় দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি (নিকডু) দেশের মানুষের কিডনি চিকিৎসায় আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হবে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে বদলে যাওয়া সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢেলে সাজানো হবে। রোগীরা পাবেন আধুনিক সেবা। ভোগান্তি পোহাতে হবে না দেশের মানুষকে।

সোমবার (২২ নভেম্বর) নিকডু’র অডিটোরিয়ামে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক সমিতির জার্নাল ও গঠনতন্ত্রের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন চিকিৎসকরা।


বিজ্ঞাপন


এ সময় সদ্য উত্তীর্ণ (জানুয়ারি-জুলাই সেশন ২০২৫) পোস্ট গ্রাজুয়েট চিকিৎসকদের ও সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহরিয়ার মো. কবির হাসানের (পল্লব) সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ডা. মশিউর আরেফিন রুবেল।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আলফাজ সানি, শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহনেওয়াজ দেওয়ান, ইউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মো শওকত আলম ,নেফ্রলজি বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর আ ন ম এহসানুল করিম, ট্রান্সপার্ট ইউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ফজল নাসের, শিশু ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. ফয়সাল ইসলাম, শিশু নেফ্রলজি বিভাগের বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. কবির আলম, অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. তানভীর আলম, রেডিওলজি বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. তাহমিনা ইসলাম ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মোরশেদ আলম।

বক্তারা জানান, হাসপাতালটিতে এখন প্রতিনিয়ত ছয়টি ওটিতে শৈল চিকিৎসা প্রদান হয়ে আসছে। ৪৪টি কিডনি প্রতিস্থাপন সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। গত এক মাসে প্রায় পাঁচটি কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। বহিঃবিভাগে প্রতিনিয়ত প্রায় দেড় সহস্রাধিক রোগী নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


তারা বলেন, নিকডু প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে শিক্ষকদের কোনো প্লাটফর্ম ছিল না, এখন তা হয়েছে। শিক্ষকরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন এবং প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

পরিচালক অধ্যাপক ডা. আলফাজ সানি বলেন, নিকডু ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। আগের নিকডু আর নেই, এখন নিকডু এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের কিডনি সংক্রান্ত অনন্য প্রতিষ্ঠান হবে নিকডু।

তিনি আরও বলেন, নিকডু’র রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। অস্ত্রোপচারের সংখ্যা এবং সেবার মান বেড়েছে। কিডনি ইনস্টিটিউট আগামীতে পথপ্রদর্শক হবে।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডা. মশিউর আরেফিন রুবেল বলেন, ভবিষ্যতে নিকডুকে একটি আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা থাকবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে নিকডু অতি দ্রুত সেন্টার অব এক্সিলেন্সিতে পরিণত হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। সেইসঙ্গে ভারতের আধিপত্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

এসএইচ/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর