রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট (এনআইসিভিডি) ও হাসপাতালে বাংলাদেশ-চীন যৌথ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজেস ক্লিনিক উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউিট ও হাসপাতালে এ অনুষ্ঠান হয়।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও একই অনুষ্ঠানে হাসপাতালের ১০ শয্যা বিশিষ্ট ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টার (ওএসইসি), নবসংস্কারকৃত ৩৯ শয্যা বিশিষ্ট কার্ডিয়াক কেয়ার সেন্টার (সিসিইউ) উদ্বোধন হয় এবং ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল যান হস্তান্তরের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
হাসপাতালেরর পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, চীনা দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ইয়েও ওয়েন, স্বাস্থ্য সেবার মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, স্বাস্থ্য শিক্ষার মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এডিজি (এ্যাডমিন) ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ, বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মো. শফিউদ্দিন, কার্ডিয়াক সোসাইটির সেক্রেটারি ডা. আ.ফ.ম. খবির উদ্দিন, চীনের ইউনান প্রদেশের ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল ফরেন এফেয়ার্স মাও জুএক্সিন, ফুয়াই ইউনান হাসপাতালের ডেপুটি ডাইরেক্টর শি জিনান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম বলেন, নতুন ওএসইসি উদ্বোধনের মাধ্যমে আশা করা যায় এ ধরনের ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত সেবা দেওয়ার পথ উন্মুক্ত হবে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, সিসিইউতে নতুনভাবে ৩৯টি বেড সংযুক্ত করার মাধ্যমে আরো অধিক হারে হৃদরোগীদের সুষ্টভাবে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। চীনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি উন্নত সেবা প্রদানের মঞ্চ উন্মুক্ত হবে এবং দেশেই উন্নত সেবার নিশ্চয়তা দেওয়ার মাধ্যমে রোগীদের বিদেশমুখিতা রোধ করা সম্ভব হবে।
অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, চীনা প্রযুক্তির আদান-প্রদানের মাধ্যমে এ দেশের চিকিৎসকরা আরো গভীরভাবে স্বাস্থ্য সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, চীন সরকারের সহযোগিতায় আমাদের দেশে জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত দুজন কিশোরের চীনে সার্জারি করা সম্ভব হয়েছে। এই কার্যক্রমটিকে জোরদার করতে হলে দুই দেশের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের আরো দক্ষতার সঙ্গে একাগ্রচিত্তে কাজ করে যেতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী বলেন, ওএসইসি প্রতিষ্ঠা এবং সিসিইউ পুনঃসংস্কারের মাধ্যমে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের পরিশালিত এবং সহজভাবে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
জরুরি বিভাগে আগত মুমুর্ষ রোগীদের এক দিকে যেমন দ্রুত ভর্তির মাধ্যমে অন্তঃবিভাগে রোগী স্থানান্তর করা সম্ভব হবে, অন্য দিকে জরুরি বিভাগে সুনির্দিষ্ঠভাবে হৃদরোগী শনাক্ত করার মাধ্যমে আগত বিপুল পরিমান রোগীদের চাপ সামলানো সম্ভব হবে।
ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী চীনা সরকারের উপহার হিসেবে আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সজ্জিত ভ্রাম্যমান যান স্থানান্তরের মাধ্যমে পরবর্তীতে সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে হৃদরোগীদের কাছে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেওয়া সহজ হবে।
ক.ম/

