অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, আমরা অনেক পথ পার হয়ে এসেছি। অথচ, টাইফয়েডে এখনও দেশের শিশু মারা যায়, অঙ্গহানি হয়। দেরিতে হলেও আমরা টাইফয়েডের টিকাদান শুরু করেছি। আশা করি সফল হব।
আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ এর জাতীয় অ্যাডভোকেসি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, নানাভাবে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ করলাম আমরা। অথচ ৭০ ভাগ শিশু টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় বা অঙ্গহানি হয়। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে টিকাদান কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হলো। আশা করি, আমরা আমাদের সন্তানদের রক্ষা করতে পারব। ইপিআই’র সাফল্য আছে টিকাদানে, এতেও সাফল্য আসবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য থাকবে শতভাগ শিশুর টিকাদান নিশ্চিত করা। মানুষের মধ্যে যাতে ভুল ধারণা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমাদের মানুষকে বোঝাতে হবে। এক্ষেত্রে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বের পাশাপাশি মিডিয়ারও ভূমিকা আছে।
প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, আমার ঘরে আমি এটির কোনো লক্ষণ পাইনি। নাতি-নাতনি আছে, কাজের লোকেরও বাচ্চা আছে। কেউ বলল না। তার মানে আমরা সব ঘরে পৌঁছাতে পারিনি। আমাদের নৈতিক দায়িত্ব একটি শিশুও যাতে বাদ না যায়। জন্ম সনদ থাকুক না থাকুক, সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। প্রচারণা আরও বাড়াতে হবে।
স্বাস্থ্যের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে আমাদের সবচেয়ে সফল কর্মসূচি টিকাদান কর্মসূচি। টাইফয়েডও হয়তো নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে ঢুকবে। আমরা টিকাদানে সক্ষম জনশক্তি বাড়াতে চাই। এজন্য মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী এবং ইন্টার্নদের সংযুক্ত করা যেতে পারে।
বিজ্ঞাপন
স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরও আলোচনা করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম, এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক দাউদ মিয়া এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ইউনিসেফের দীপিকা শর্মা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রাজেশ নরওয়ানসহ বিদেশি প্রতিনিধি, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের টিকাদান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এএসএল/এফএ

