দেশে ডেঙ্গুর বেশি প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া উপকূলীয় জেলা বরগুনায় জরিপ চালিয়ে রোগটির ডেন-৩ ভ্যারিয়েন্টের আধিক্য ধরা পড়েছে। জেলাটিতে ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে ৪৬ শতাংশই ডেন-৩ তে আক্রান্ত।
সীমিতসংখ্যক নমুনা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পেয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। বুধবার (২৫ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি তুলে ধরেন সংস্থাটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন।
বিজ্ঞাপন
ডেন-৩ (Den-3) হলো ডেঙ্গু ভাইরাসের একটি প্রকার বা ভ্যারিয়েন্ট। এটি ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী চারটি প্রধান সেরোটাইপের মধ্যে একটি। ২০২৪ সালে রাজধানীতে ডেঙ্গু রোগীদের ৮৫ শতাংশেরও বেশি সেরোটাইপ–২ (ডেন–২) দ্বারা আক্রান্ত ছিলেন। ২০২৩ সালেও ডেন-২-এ আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল বেশি। সেবছর সীমিতসংখ্যক নমুনা বিশ্লেষণে ৬২ শতাংশ রোগীর ডেন-২ ধরন দেখা যায়। বাকি ৩৮ শতাংশ আক্রান্ত ছিলেন ডেন-৩-এ। আর ২০২২ সালে নমুনা বিশ্লেষণে প্রাধান্য ছিল ডেন-৩-এর। ৯০ শতাংশ রোগী আক্রান্ত হয়েছিল ডেন-৩-এ। বাকি প্রায় ১০ শতাংশ ছিল ডেন-৪। তবে এ বছর আবার ডেন-৩ এর প্রধান্য দেখা দিচ্ছে।
বরগুনার সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত বরগুনায় ২ হাজার ৪৯৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। জেলাটিতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত মোট ২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন।
আরও পড়ুন-
ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, বরগুনায় ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ ডেন-৩ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ রোগী ডেন-২ তে আক্রান্ত হয়েছেন। বাকি ১৪ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন অন্য ধরন ডেন-২ ও ৩-তে। ৪৩টি অনুমান জিনোম পরীক্ষা করে এই তথ্য মিলেছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, বরগুনায় জুনের ১৬-২২ তারিখ পর্যন্ত সার্ভে পরিচালনা করা হয়। ভর্তি রোগীদের মধ্যে বরগুনা সদরে ডেঙ্গু আক্রান্ত বেশি, এরপর পাথরঘাটায়। কম রোগী ছিল আমতলী আর বেতাগী উপজেলায়।
বরগুনায় ডেঙ্গুর চিত্র কতটা ভয়াবহ তা এখনই বলা যাচ্ছে না বলে জানান ডা. তাহমিনা শিরিন। বলেন, এটি বুঝতে আরও সময় লাগবে।
এসএইচ/ইএ

