পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়োগ বিধির দাবিতে মঙ্গলবার স্মারকলিপি দিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসক ও অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বরাবর এ স্মারকলিপি দেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা।
স্মারকলিপিতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে নিয়োগ বিধি প্রণয়নে স্বাস্থ্যকর্মীরা তিন দফা দাবি জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
দাবিগুলো হলো— ১. শিক্ষাগত যোগ্যতার উন্নীতকরণসহ পরিবার পরিকল্পনা পরির্শক পদটি ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগে স্নাতক বা সমমান পাশ, বেতন গ্রেড ১১ এবং পরিবার কল্যাণ সহকারী পদটি ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পাশ, বেতন গ্রেড ১৩-এ উন্নীতকরণ। ২. পরিবার পরিকল্পনা পরির্শক পদ থেকে সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭৫% অথবা অনুমোদিত মোট পদ সংখ্যার আনুপাতিক হারে পদ সংখ্যা নির্ধারণ। পরিবার কল্যাণ সহকারী পদ থেকে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী পদে ধারাবাহিকভাবে পদোন্নতির ব্যবস্থা। ৩. গেজেট প্রকাশের আগ পর্যন্ত সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, পরিবার কল্যাণ সহকারী, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী পদে সব ধরনের নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন বন্ধ রাখতে হবে।
স্মারকলিপিতে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে দাবি আদায় না হলে রিপোর্ট প্রদান বন্ধ ও কর্মবিরতিসহ ধারাবাহিক কঠোর কর্মসূচি পালনের আলটিমেটাম দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
জানা গেছে, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতায় মাঠ পর্যায়ে রাজস্ব খাতভুক্ত পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে ২৮ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু কোনো নিয়োগ বিধি না থাকায় কর্মরত স্বাস্থকর্মীরা সব ধরনের পদোন্নতি বা আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যে পদে নিয়োগ পেয়ে যোগদান সেই পদ থেকেই তাদের চাকরি থেকে অবসর নিতে হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে তারা আশ্বাসের পর আশ্বাস দেন। এভাবে প্রায় ২৬ বছর অতিবাহিত হয়েছে। এমতাবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতির মাধ্যমে প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর দাবি-দাওয়া সংবলিত একটি আবেদনপত্র দেওয়া হয়। একই দাবিতে ২২ আগস্ট অধিদপ্তরের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

