মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ফুরিয়ে আসছে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর ভাণ্ডার!

বোরহান উদ্দিন
প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২৪, ১১:৩১ এএম

শেয়ার করুন:

ফুরিয়ে আসছে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর ভাণ্ডার!

* নরমাল ডেলিভারির কিটশূন্য ৪৮৮ উপজেলা

* জন্মনিরোধক ইনজেকশন নেই ৪৮৩ উপজেলায়


বিজ্ঞাপন


* ৩০৯ উপজেলায় নেই খাবার বড়ি

* কনডমের মজুদও তলানিতে, ঝুঁকিতে শতাধিক উপজেলা

* পছন্দের কোম্পানি কাজ পাওয়ায় বাতিল করা হয় জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী কেনার টেন্ডার

* শিগগিরই সামগ্রী কেনা অনিশ্চিত, মন্ত্রী বললেন সংকট কেটে যাবে


বিজ্ঞাপন


* জন্মনিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

 

প্রতি বছর বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে সরকার। সবশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও এই খাতে বাড়ানো হয়েছে বরাদ্দ। অন্যদিকে ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতেও সরকার সুবিধা দিয়ে থাকে। এতো কিছুর পরও সরকারের অগ্রাধিকার খাতের অন্যতম জন্মনিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়ার মতো অবস্থায় আছে। কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণের সব ধরণের সামগ্রীর তীব্র সংকট চলছে। ইতোমধ্যে কনডম, খাবার বড়ি, নরমাল ডেলিভারির কিট, জন্মনিয়ন্ত্রণের  ইনজেকশনের মজুদ দেশের অনেক উপজেলায় ‘শূন্যের কোটায়’ নেমে এসেছে। বেশিরভাগ উপজেলায় যেকোনো সময় মজুদশূন্য হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখনই প্রয়োজনীয় মজুদ নিশ্চিত করা না গেলে অনাকাঙিক্ষত গর্ভধারণের শঙ্কা বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন খোদ পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, সংকটের ফলে বেড়ে যেতে পারে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু।

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহীতার প্রায় ৪০ শতাংশ সেবাগ্রহীতা ওরাল পিলের ওপর নির্ভরশীল। তথ্য বলছে, প্রতিমাসে খাবার বড়ির চাহিদা ৬ মিলিয়ন সাইকেলের বেশি। খাবার বড়ির (তৃতীয় প্রজন্ম) বর্তমান মজুদ মাত্র ৬.৭ মিলিয়ন সাইকেল। বর্তমান যে মজুত আছে, তা দিয়ে ১.৩ মাস চলবে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের সাপ্লাই চেইনের তথ্যমতে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর মজুদের এমন সংকটের তথ্য মিলেছে। বিষয়টি সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনও অবগত আছেন বলে জানিয়েছেন। মন্ত্রী সংকট সমাধানের চেষ্টার কথা বললেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিপুল জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী কেনার টেন্ডার হলেও অদৃশ্য কারণে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে টেন্ডার বাতিল করায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) এই টেন্ডার বাতিল ঠিক হয়নি বলে রায় দিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা ও সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিলের পেছনে কাজ করেছেন খোদ স্বাস্থ্যশিক্ষা সচিব মো. আজিজুর রহমান। পছন্দের প্রতিষ্ঠান কাজ না পাওয়ায় পুরো টেন্ডার বাতিল করতে বাধ্য করা হয়েছে। এই টেন্ডার বাতিলে সহায়তা করেছেন প্রাক্তন মহাপরিচালক ও ক্রয়কারী পরিচালক (উপকরণ ও সরবরাহ)। দরপত্র বাতিলের বিষয়ে সচিব বরাবর অভিযোগ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন

স্ত্রী-রোগ: নারীজীবনের ৮ শতাংশ কাটছে অসুস্থতা ও অক্ষমতায়

অধিদফতরের কেন্দ্রীয় পণ্যাগারের তথ্যমতে, যেকোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মজুদ ছয় মাসের নিচে নামলেই ‘মজুদ শূন্যতা’ দেখা দেয়। পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের সাপ্লাই চেইনের তথ্যমতে এই মুহুর্তে বেশিরভাগ সামগ্রী শূন্যতার দিকে। ফলে মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা এসব সামগ্রী বিতরণ করতে পারছেন না।

অন্যদিকে টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল হওয়ায় এই মুহুর্তে সরবরাহ লাইনেও কোনো সামগ্রী নেই। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংকট আরও তীব্র হবে বলে জানিয়েছেন অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

অধিদফতরের উপকরণ ও সরবরাহ বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘যেকোনো ক্রয়প্রক্রিয়া পিপিআর, ২০০৮ এবং পিপিএ ২০০৬ মেনে শেষ করতে হয়। তাই আইন অনুযায়ী ক্রয় প্রক্রিয়া শেষ করে ৬ থেকে ৭ মাসের আগে মালামাল হাতে পাওয়ার সুযোগ নেই। তাই বড় ধরণের সংকট হবে এটা অনেকটা নিশ্চিত।’

কোন সামগ্রীর কেমন চাহিদা, মজুদের কী হাল?

পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট পোর্টালের সবশেষ তথ্যমতে (১৫ জুন পর্যন্ত), ৪৮৮ উপজেলা স্টোরে কোনো নরমাল ডেলিভারি কিট নেই, যা দিয়ে অধিদফতরের কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে নরমাল ডেলিভারি সেবা দিয়ে থাকেন। তিন উপজেলায় প্রয়োজনের চেয়ে কম কিট আছে। একটি উপজেলায় সন্তোষজনক ও একটি উপজেলায় অতিরিক্ত কিট মজুদ আছে।

অথচ অধিদফতরের এমআইএস রিপোর্ট অনুযায়ী বছরে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়, কিট সংকট চলতে থাকলে যা বাধাগ্রস্ত হবে।

আরও পড়ুন

তীব্র গরমে ঝুঁকিতে ওষুধের কার্যকারিতা

অন্যদিকে ৪৮৩ উপজেলা স্টোরে কোনো জন্মনিরোধক ইঞ্জেকশন (ডিপো-প্রোভেরা) নেই। এ পদ্ধতির ওপর মাসে প্রায় ১০ লাখের কাছাকাছি সেবাগ্রহীতা নির্ভরশীল। অথচ গত চার মাস ধরে এই জন্মনিরোধক ইঞ্জেকশনের মজুদ শূন্য। এছাড়া ৩০৯ উপজেলা স্টোরে কোনো খাবার বড়ি নেই। ১৩৫ উপজেলা স্টোরে যেকোনো সময় ‘মজুদ শূন্য’ হবে।

অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহীতার প্রায় ৪০ শতাংশ সেবাগ্রহীতা ওরাল পিলের ওপর নির্ভরশীল। তথ্য বলছে, প্রতিমাসে খাবার বড়ির চাহিদা ৬ মিলিয়ন সাইকেলের বেশি। খাবার বড়ির (তৃতীয় প্রজন্ম) বর্তমান মজুদ মাত্র ৬.৭ মিলিয়ন সাইকেল। বর্তমান যে মজুত আছে, তা দিয়ে ১.৩ মাস চলবে।

এদিকে ৩০টি উপজেলা স্টোরে কনডমের মজুদও শেষ। ৮৬টি উপজেলা স্টোরে মজুদ শেষ পর্যায়ে। ৭৮টি উপজেলায় প্রয়োজনের চেয়েও কম আছে। অবশ্য ২০৪টি উপজেলায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত আছে।

তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ মাস ধরে কনডম ছিল না। অথচ মাসে এর চাহিদা ৮০ লাখ। মজুদহীনতার কারণে বিতরণ কমে যাওয়ায় ৯ মাসের স্টক দেখাচ্ছে। অথচ সঠিকভাবে বিতরণ করা হলে আগামী ৩-৪ মাসের বেশি চলবে না।

অন্যদিকে মা ও শিশুস্বাস্থ্য সেবার অন্যতম উপকরণ ডিডিএস কিটের অবস্থাও খারাপের দিকে। যে পরিমাণ মজুদ আছে তা দিয়ে ৫-৬ মাস চলবে। নতুন কোনো ডিডিএস কিট ক্রয় প্রক্রিয়াধীন নেই। এই আইটেমটি ক্রয় করে পণ্য পেতে প্রায় ৮-১০ মাস সময় লাগে।

মন্ত্রণালয়, অধিদফতর ও মাঠ পর্যায়ের তথ্য বলছে, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। গত আট মাস ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবার ওষুধ সামগ্রীর মজুদ শূন্যতার কারণে সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

আরও পড়ুন

নীরব ঘাতক: বড় অংশই জানে না উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের কথা

ঢাকা জেলার একটি উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘কয়েকমাস ধরে কর্মীদের কাছে কোনো ইনজেকশন ও কনডম নেই। খাবার বড়িও প্রায় মজুদশূন্য। এখন অনেকটা কাজ ছাড়া অলস সময় পার করছি।’

এতে সমস্যা কী হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে মাঠ পর্যায়ের এই কর্মকর্তা ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘শুরুতে বোঝা না গেলেও এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে। অনাকাঙিক্ষত গর্ভধারন, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু বাড়বে।’

জন্মনিরোধ সামগ্রী কেনার উদ্যোগ থমকে গেল কেন?

ওরাল পিল ক্রয়ের চাহিদা প্রেরণকারী ফ্যামিলি প্লানিং-ফিল্ড সার্ভিসেস ডেলিভারি ইউনিটের একজন ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মেইলকে বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে তাদের ইউনিট থেকে রাজস্ব বাজেটে ৫ মিলিয়ন সাইকেল ওরাল পিল, ৫ মিলিয়ন ভায়াল জন্মনিরোধক ইঞ্জেকশন এবং ৫০ মিলিয়ন পিস কনডম ক্রয় করার জন্য উপকরণ ও সরবরাহ ইউনিটে চাহিদা পাঠানো হয়। এছাড়াও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় ৪৫ মিলিয়ন সাইকেল খাবার বড়ি, ৭৭ মিলিয়ন পিস কনডম এবং ৭ মিলিয়ন ভায়াল জন্মনিরোধক ইনজেকশন কেনার জন্যও চাহিদা পাঠানো হয়। রাজস্ব বাজেট থেকে ক্রয়সমূহ নভেম্বর মাসেই অনুমোদন পর্যায়ে ছিল, কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য কারণে এই ক্রয় আলোর মুখ দেখেনি। তবে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায় রাজস্ব বাজেটের ক্রয় প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য এ বিভাগের সচিবের চাপ ছিল এবং বিভিন্ন মিটিংয়ে বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত রেজুলেশনে দেখা যায় যে, রাজস্ব বাজেট থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ক্রয় বন্ধ রাখার পেছনে তার সিদ্ধান্ত ছিল।

আরও পড়ুন

প্রাচীনকালে জন্মনিয়ন্ত্রণের যত উদ্ভট রীতি

অধিদফতরের উপকরণ ও সরবরাহ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ক্রয়প্রক্রিয়া শেষ করা হলেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তা স্থগিত রাখা হয়। পরবর্তীতে উন্নয়ন বাজেট থেকে ক্রয় শুরু করা হয়। কিন্তু কোনো অদৃশ্য কারণে ক্রয় প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটিতে এই বাতিল আদেশ সঠিক ছিল না রায় দিলে আবারও এই ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪৫ মিলিয়ন সাইকেল খাবার বড়ি ক্রয় করার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই খাবার বড়ি কেনা যাবে। মন্ত্রণালয়ের  অনুমোদন পেলে এই ৪৫ মিলিয়ন সাইকেল খাবার বড়ি পেতে দুই মাস লাগতে পারে বলে জানা যায়। বর্তমান মজুদের অবস্থা অনুযায়ী এই পণ্য পেলেও অন্তত এক মাস ওরাল পিল মজুদশুন্য থাকবে।

যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

এমন সংকট অব্যাহত থাকলে জন্মনিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগ ভেস্তে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী।

ঢাকা মেইলকে ডা. লেলিন বলেন, ‘আমাদের মতো দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এখনই সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়া দরকার। কারণ এভাবে সংকট তৈরি হলে জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঘটবে। মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের মান খারাপ হবে। শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার বাড়বে।’

আরও পড়ুন

মিলছে না সরকারি খরচে ডায়ালাইসিসের সিরিয়াল, বিপাকে কিডনি রোগীরা

এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘কারও খামখেয়ালি কিংবা উদ্দেশ্য হাসিল না হওয়ার কারণে যদি জাতি ক্ষতির মুখে পড়ে, তাহলে তদন্ত করে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। শান্তি না হলে বেনজীর আহমেদদের মতো লোক তৈরি হবে। এমনটা মেনে নেওয়ার মতো না।’

সংকট নিয়ে যা বলছেন মন্ত্রী-সচিব?

এমন সংকটের কথা অবগত আছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। মন্ত্রী বলেন, ‘জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর ওখানে কিছু সমস্যা আছে আমি জানি। কয়েকটি পণ্যের ক্ষেত্রে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হবে। আশা করি দ্রুতই এ সংকটের সমাধান হবে।’

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে একাধিকবার ফোন করা হলেও স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে প্রশ্ন লিখে পাঠালেও কোনো সাড়া মেলেনি। এছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী মজুদহীনতার বিষয়ে কথা বলার জন্য তার দফতরে একাধিকবার গেলেও তিনি দেখা করেননি।

জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সংকটের বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার চেষ্টা করেও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক আ ন ম আর ফিরোজের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপে প্রতিবেদক পরিচয় দিয়ে ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

বিইউ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর