মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ঢাকা

‘অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ মে ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম

শেয়ার করুন:

‘অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে’

দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে সরকার সোচ্চার রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এ লক্ষ্যে সচেতনামূলক প্রচারণার পাশাপাশি কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সুইডেন, ইউএসএইড, ইউনিসেফ ও এফসিডিও-এর প্রতিনিধিদলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা জানান।


বিজ্ঞাপন


স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক ও এর যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এক্ষেত্রে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি ওষুধ কেনাবেচার সাথে সংশ্লিষ্টদের ওপর কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবিকা যে বহুমাত্রিক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে, সহযোগী ও অংশীদারদের তা মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে।

সুইডিশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মারিয়া স্ট্রাইডসম্যানের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন সহযোগী অংশীদাররা নার্সদের এবং স্বাস্থ্যসেবার বিশেষ দিকেগুলো নিয়ে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে। আর দক্ষ প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী জনগণের স্বাস্থ্যের মান বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

আরও পড়ুন

টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন কর্মসূচি বাস্তবায়নের তাগিদ

Health_minister_2

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনগণের জীবনমান উন্নয়নে স্বাস্থ্য খাতে বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো তুলে ধরেন।

সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, সুইডিশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মারিয়া স্ট্রাইডসম্যান, ইউএসএইড বাংলাদেশ মিশন ডিরেক্টর রিড এশলিম্যান, ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার ম্যাট ক্যানেল প্রমুখ।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে ও জনস্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতি ঘটাতে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সুইডেন, ইউএসএইড, ইউনিসেফ ও এফসিডিও নিবিড়ভাবে কাজ করছে। মাতৃস্বাস্থ্য, টিকাদান, শিশু স্বাস্থ্য, নবজাতকের পরিচর্যা, কমিউনিটি হেলথসহ স্বাস্থ্যসেবা খাতের বিভিন্ন পর্যায়ে জনগণের স্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতিতে এ সহযোগিতা ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এমএইচ/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর