মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

অ্যাসবেস্টসজনিত সংক্রমণে বছরে এক লাখ শ্রমিকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

অ্যাজবেস্টসজনিত সংক্রমণে বছরে এক লাখ শ্রমিকের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

সিমেন্ট শিটে ৫০ ভাগ ও ব্রেক শুতে ১৫ ভাগ ক্রিসোটাইল অ্যাসবেস্টেসের উপস্থিতি পাওয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ অকুপেশনাল সেফটি, হেলফ ও এনভায়রমেন্ট ফাউন্ডেশন (ওশি)। অ্যাসবেস্টস দ্বারা সংক্রমিত বিভিন্ন রোগে প্রতি বছর অন্তত এক লাখ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ধূলিকণা হিসেবে শ্বাস নেওয়া হলে এটি গুরুতর ফুসফুসের রোগের কারণ হতে পারে উল্লেখ করে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক পণ্যটির আমদানি, ব্যবহার ও বিপণন নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে ওশি।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান ওশি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুর রশীদ চোধুরী রিপন।


বিজ্ঞাপন


সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অ্যাসবেস্টস একটি ধূসর রঙের খনিজ, যা সহজেই দীর্ঘ নমনীয় ফাইবারে বিভক্ত হয়ে যায়। এটি অগ্নিরোধী, বিদ্যুৎ অপরিবাহী এবং রাসায়নিকভাবে প্রতিরোধী। ধূলিকণা হিসেবে শ্বাস নেওয়া হলে এটি গুরুতর ফুসফুসের রোগের কারণ হতে পারে। অ্যাসবেস্টস একটি নীরব মরণ ঘাতক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার তথ্যানুযায়ী বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ শ্রমিক অ্যাসবেস্টস সংক্রমণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যবরণ করে। বিশ্বের ৬২টি দেশে অ্যাসবেস্টসের ক্ষতিকারক দিক বিবেচনায় এর উৎপাদন, আমদানি ও বিপণন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী অ্যাসবেস্টস সংক্রমণজনিত রোগ এবং ক্ষতিপূরণযোগ্য পেশাগত ব্যাধি।

আরও পড়ুন

তামাকে কার্যকর করারোপ রুখবে ১১ লাখ অকাল মৃত্যু

অসংক্রামক রোগে মৃত্যু কমাতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি

ওশির নির্বাহী পরিচালক আমিনুর রশীদ চোধুরী বলেন, গবেষণায় বাংলাদেশে তৈরি সিমেন্ট শিট, একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বেবি টেলকম পাউডার, গাড়ির ব্রেক শু ও সীতাকুন্ডে জাহাজ ভাঙা শিল্প এলাকা থেকে সংগৃহীত নমুনা বিশ্লেষেণ করা হয়। এতে সিমেন্ট শিটে ৫০ ভাগ ও ব্রেক শুতে ১৫ ভাগ ক্রিসোটাইল অ্যাসবেসটসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বেবি টেলকম পাউডার ও সীতাকুন্ড এলাকার মাটির যে নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছিল তাতে অ্যাসবেসটস পাওয়া যায়নি।

তবে এর ক্ষতি নিরোধে আরও নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন আছে বলেও জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন


এ সময় ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশে সকল প্রকার অ্যাসবেস্টসের ব্যবহার বন্ধকরণ বিষয়ক সভায় ক্রিসোটাইল অ্যাসবেসটসের ক্ষতিকারক প্রভাব বিষয়ে গবেষণাসহ অন্যান্য যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছিল তা বাস্তবায়ন করার তাগিদ দেন তারা।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন ওশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপারসন ড. এস এম মোর্শেদ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি হেলথ সায়েন্সের ডিপার্টমেন্ট অব অকুপেশনাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল হেলথের অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন ফারুকী, সাংবাদিক ও গবেষক আতাউর রহমান প্রমুখ।

এমএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর