শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ঢাকা

‘এমপিরা বিদেশে গেলে দেশের চিকিৎসাব্যবস্থায় রোগীদের আস্থা থাকে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

‘এমপিরা বিদেশে গেলে দেশের চিকিৎসাব্যবস্থায় রোগীদের আস্থা থাকে না’

এমপিরা বিদেশে চিকিৎসা নিতে গেলে দেশের চিকিৎসাব্যবস্থায় রোগীদের আস্থা থাকে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখান দেশের হাসপাতালে আর সংসদ সদস্যরা চিকিৎসা নিতে যান সিঙ্গাপুরে। এমপিরা যদি নিজ এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তাহলে সাধারণ মানুষ দেশের স্বাস্থ্য সেবায় আস্থা ফিরে পাবেন। এতে কোনো সন্দেহ নাই।

বুধবার (৩ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে বাংলাদেশ স্মার্ট ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ নেটওয়ার্ক আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চোখ দেখাতে যান আমাদের দেশের জাতীয় চক্ষু ও বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে। কিন্তু সংসদ সদস্যরা যদি একটা বোন কাটতে সিঙ্গাপুর চলে যান, তাহলে তো দেশের মানুষের চিকিৎসা সেবায় আস্থা আসবে না।

দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার সমস্যা চিহ্নিত হবে এবং সেগুলোর দ্রুত সমাধান হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের সবাই মিলে চেষ্টা করলে স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি করা সম্ভব। বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে দুজন চিকিৎসক রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন, তাই আমাদের পারতেই হবে। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি সকল অংশীজনের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’

চিকিৎসক তৈরির ক্ষেত্রে ক্যারিয়ারবেস পরিকল্পনা করার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, বেসিক সাবজেক্টে লোক নেই, অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার লোক নেই, কিন্তু গাইনি ডাক্তার প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে তাদের পদায়ন ও পদোন্নতি দেওয়ার সুযোগ হচ্ছে না।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ভুটানের রাজা এবং নেপালের রাষ্ট্রদূত আমাকে অনুরোধ করেছেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ভুটান, নেপাল এবং মালদ্বীপেও বাড়িয়ে দিতে।


বিজ্ঞাপন


সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আবাসিক প্রতিনিধি ড. বারদান জং রানা।

কর্মশালায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের বর্তমান মহাপরিচালকসহ সাবেক তিনজন মহাপরিচালক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যসহ সাবেক তিন উপাচার্য এবং দেশের স্বাস্থ্য সেক্টরের কর্তা ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। 

কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। 

এসময় প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে তারা উল্লেখ করেন, রেফারেন্স সিস্টেমের অভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকা, উপযুক্ত চিকিৎসকের অভাব, স্মার্ট হেলথ কার্ড সিস্টেম না থাকা এবং জনসচেতনতা তৈরি না হওয়ায় ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ বা সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা অনেকটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অংশীজনদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর