রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বাংলাদেশকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহায়তা করতে ইচ্ছুক যুক্তরাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম

শেয়ার করুন:

বাংলাদেশকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহায়তা করতে ইচ্ছুক যুক্তরাজ্য

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ব্রিটিশ হাই কমিশনারের ম্যাট ক্যানেল। এসময় তিনি বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহায়তা বাড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে উভয় দেশের চিকিৎসক, নার্সদের অধিক হারে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের উপর জোর দেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দফতরে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।


বিজ্ঞাপন


বৈঠক সূত্র জানায়, সাক্ষাৎকালে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন। করোনা মহামারীতে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশ থেকে ভালো করেছে বলে জানান ব্রিটিশ হাইকমিশনার। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ৭ লাখ বাংলাদেশি রয়েছে উল্লেখ করে অনেক শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যে মেডিকেল পড়ালেখা করতেও যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

এসময় ব্রিটিশ হাইকমিশনার বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহায়তা করতে তার দেশের আগ্রহের কথা জানান। জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রিটিশ হাইকমিশনারের উদ্দেশ্যে বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক গভীর। বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতেও ব্যাপক উন্নতি শুরু হয়েছে। করোনাকালেও বাংলাদেশে হাজার হাজার চিকিৎসক, নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে ৫ম স্থান এবং দক্ষিণ এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। 

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বাংলাদেশে এখন দরকার চিকিৎসক, নার্সদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া। এ প্রেক্ষিতে তিনি ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কাছে চিকিৎসক নার্সদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশে একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট করার অনুরোধ জানালে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের পক্ষ থেকে এটিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে বলে জানানো হয়।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার উভয় দেশের চিকিৎসক, নার্সদের অধিক হারে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের কথা বলেন। একইসাথে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স পাঠানোর কথাও জানান তিনি। 


বিজ্ঞাপন


আলোচনায় যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ আরও টেকনোলিক্যাল সহায়তা বৃদ্ধি ও ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ব্যাপারেও কথা হয়। বাংলাদেশে যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হ্রাস করা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে বলে জানান ব্রিটিশ হাইকমিশনার। জবাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হ্রাস করতে বহুমাত্রিক উদ্যোগ বাংলাদেশ সরকার হাতে নিয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। 

বৈঠকে আগামী ১০ বছরে বিশ্বে করোনার মত আবারও কোনো মহামারি চলে আসতে পারে আশঙ্কা করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গবেষণা আরও বাড়ানো যায় কি না সে ব্যাপারে ভাবার পরামর্শ দেন ম্যাট ক্যানেল।

এসময় উভয় দেশে ভ্যাকসিন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, স্বাস্থ্যসেবার হার বৃদ্ধি করা, চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ বিনিময় করা নিয়েও কথা বলেন তারা। 

এমএই/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর