রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

স্বাস্থ্যখাতে সবখানে আস্থার সংকট কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম

শেয়ার করুন:

স্বাস্থ্যখাতে সবখানে আস্থার সংকট কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, চিকিৎসা নিয়ে আস্থা কম থাকায় অনেক মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষ আস্থা না পেয়ে ঢাকায় চলে আসছে। ঢাকা থেকে মানুষ বিদেশে যাচ্ছে চিকিৎসা নিতে। 

রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৫৪তম বৈঠকের বিষয়বস্তু, সায়মা ওয়াজেদের আঞ্চলিক পরিচালক পদে যোগদান ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 


বিজ্ঞাপন


স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য নিয়ে সবখানেই একটা আস্থাহীনতা কাজ করছে মানুষের মনে। তাই তৃণমূলের রোগীরা ঢাকায় আসছে, আর ঢাকার অনেক রোগী বিদেশ চলে যাচ্ছে। সেটি আমি বুঝি। আমি কাজ শুরু করে দিচ্ছি। স্বাস্থ্যসেবার মান এমনভাবে বাড়াতে হবে এবং এমন কিছু কাজ করতে হবে যাতে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিতে আস্থার অভাবে না থাকে।

রোগীদের বিদেশ যাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আস্থা ফিরিয়ে আনা না গেলে মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাবেই। স্বাস্থ্যসেবায় বেশকিছু জরুরি কাজ শুরু করে দিচ্ছি, যাতে স্বাস্থ্যখাতে মানুষের আস্থা ফিরে আসে। তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসা সেবার মান, ভালো চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবার প্রয়োজনীয় মেশিন বা যন্ত্রপাতি ঠিকভাবে দেওয়া গেলে তৃণমূলে মানুষের আস্থা চলে আসবে। সেটাই আমরা শুরু করে দিচ্ছি।

আরও পড়ুন
‘চিকিৎসা খাতের উন্নয়নে তৃণমূল স্বাস্থ্যসেবায় জোর দিতে হবে’

সায়মা ওয়াজেদের আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগের বিষয়ে সামন্ত লাল বলেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পদে যোগ দেবেন। এটি আমাদের দেশের জন্য একটি বিরাট অর্জন। সায়মা ওয়াজেদ কেবল প্রধানমন্ত্রী কন্যাই নন, তিনি অটিজম নিয়ে কাজ করে বিশ্বব্যাপী আলাদাভাবেও একজন পরিচিত মুখ। তিনি গত ১ নভেম্বর আর.ডি নির্বাচনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক ১০টি দেশের মধ্যে ৮ ভোট পেয়ে বিপুল ব্যবধানে নির্বাচিত হন। 


বিজ্ঞাপন


সায়মা ওয়াজেদ সাথে সেখানে তার কথা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনি তার দায়িত্বে কাজ শুরু করে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন করতে সার্বিক দিক নির্দেশনাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করবেন। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা অবশ্যই আরও ভালো করতে হবে। এতে অন্যান্য দেশও বাংলাদেশের ওপর ভরসা ও আস্থা পাবে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে তিনি (সায়মা ওয়াজেদ) সব কাজে সহায়তা করবেন।

সুইজারল্যান্ডের বৈঠকে যোগদানে ফলপ্রসূ অগ্রগতি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী মার্চে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরি (এনসিএল) পরিদর্শনে বাংলাদেশ আসবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধি দল। তারা বাংলাদেশে টিকা পরীক্ষার সক্ষমতা যাচাই করবে। বাংলাদেশে টিকা ও ওষুধ পরীক্ষার জন্য পরিপূর্ণ সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে কি না তা তারা জানাবেন। 

দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ডাব্লিউএইচও ডিজির সাথে কথা হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ে বাংলাদেশে সচেতনতা বৃদ্ধি করা সবচেয়ে জরুরি বলে আমরা একমত হয়েছি। আমাদের গ্রামের অনেক মানুষই জানে না পোড়া থেকে বাঁচার কৌশলগুলো। স্তন ক্যান্সারের বিষয়ে গ্রামের মানুষ এখনও লজ্জা পায়। পোড়ার চিকিৎসা ও সচেতনতার কাজে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিজি। সেখানে ইন্দোনেশিয়ার একটি দলও এসেছিল। তাদের সাথেও আমাদের কথা হয়েছে। আমরা ২০২৬ সালে বার্নের উপরে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করতে চাই। 

সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন মন্ত্রী। এছাড়া করোনার বিষয়েও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি 

এমএইচ/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর