রাজধানীর বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনার জন্য অজ্ঞান করা শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। একইসঙ্গে এ ঘটনায় কোনো অবহেলা হলে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শিশু আয়ানের পরিবার সাক্ষাৎ করতে গেলে মন্ত্রী তাদের এমন আশ্বাস দেন। এ সময় স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন মন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
গত ৩১ ডিসেম্বর সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করানোর জন্য আনা হয় আয়ানকে। সেদিন বেলা ৯টায় খতনা করার জন্য তাকে পুরোপুরি অজ্ঞান করা হয়। খতনার পর ১১টায়ও জ্ঞান না ফিরলে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে এনে লাইফসাপোর্টে রাখা হয় শিশুটিকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ জানুয়ারি রাতে লাইফ সাপোর্ট খুলে নিয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে দেওয়া আয়ানের মৃত্যু সনদে ‘কার্ডিও-রেসপিরেটরি ফেইলিওর, মাল্টিঅর্গান ফেইলিওর এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ কে মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখান হয়েছে।
আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সেখানকার দুই জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তার পরিবার। শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের প্রধানকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার শিশু আয়ানের পরিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
সামন্ত লাল সেন বলেন, খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যু দুঃখজনক। এরকম কার্যক্রম সমর্থনযোগ্য না। আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভারতসহ কয়েকটি দেশে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত ও সংক্রমণ বাড়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বলেন, করোনা বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। করোনার নতুন সংক্রমণ প্রতিরোধে এবছর এক কোটি ২৫ লাখ মানুষকে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। আর দুই বছরে আড়াই কোটি মানুষকে চতুর্থ ডোজ দেওয়া হবে।
এমএইচ/এমআর