ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান বিভিন্ন ঘরানার সিনেমায় একাধিকবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন। পরিচালক হাসিবুর রেজা কল্লোলও নির্মাতা হিসেবে দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে আলাদা সুনামের অধিকারী। এই দুজনের সম্মিলিত অংশগ্রহণ যে খুব মনে রাখার মতো ‘সত্ত্বা’ ছবিই তার প্রমাণ।
শোনা গিয়েছিল, ‘কবি’ নামের একটি সিনেমার মাধ্যমে ফের হাজির হচ্ছেন শাকিব-কল্লোল। কল্লোল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও জানিয়েছিলেন সে কথা। শাকিব যখন যুক্তরাষ্ট্রে তখন প্রকাশ করেছিলেন ‘কবি’র একটি পোস্টার। সেসময় নির্মাতা জানিয়েছিলেন, সিনেমাটি প্রযোজনার দায়িত্বে থাকবে শাকিবের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে ফিল্মস। তিনি দেশে ফিরলে এ নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে। সিনেমাটি যে হচ্ছে তার নিশ্চয়তাও দিয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে কিং খান মার্কিন মুলুক থেকে ফিরেছেন তিন মাস হলো। কিন্তু কবির লাইট, ক্যামেরা জ্বলে ওঠার কোনো লক্ষণ নেই। এতে কল্লোল বেশ ক্ষুব্ধ। সেই ক্ষোভ তিনি প্রকাশ করলেন সামাজিক যোগাযোগমধ্যমে।
নিজের ফেসবুকে কল্লোল লিখেছেন, “একজন নির্মাতার জন্য সবচেয়ে কষ্টের বিষয় কী জানেন? দর্শকের তুমুল আগ্রহ এবং প্রত্যাশা সত্ত্বেও একটি চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করতে না পারা। ‘কবি’ নিয়ে সবার মধ্যে যে আগ্রহ, আমি আপ্লুত-সম্মানিত। এই চলচ্চিত্রের জন্য চারটি গানের কাজও শেষ হয়েছে। প্রি-প্রোডাকশনও শেষ।”
এরপর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি লেখেন, ‘প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কী ভূমিকা? কেন শুটিং ফ্লোরে যেতে পারছি না? সব জানাব, কয়েকটা দিন সময় চেয়ে নিলাম।’
এ ব্যাপারে কল্লোলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগযোগ করে ‘কবি’র প্রসং তুলতেই ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে ‘কবি’ নিয়ে কল্লোল বলেছিলেন, ‘শাকিবের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে ফিল্মস যেহেতু সিনেমাটির প্রযোজক তাই তিনিই কথা বলবেন এ বিষয়ে। আমার কাজ নির্মাণ, আমি নির্মাণ করব।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘এখন একটা টানপোড়ন চলছে। শাকিবের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু সমস্যা চলছে। ঠিক এসময়ে সিনেমাটি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলা শোভনীয় না।’
তার মাস খানেকের মাথায় সিনেমাটি নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন নির্মাতা। জানা গেছে, ‘কবি’ সিনেমার জন্য শাকিবকে যেভাবে পর্দায় উপস্থাপন করা হবে তিনি এখন সেভাবে নেই। চরিত্রের উপযোগী হয়ে উঠতে কিছুটা সময় নিতে হবে তাকে। কিন্তু এই মুহূর্তে তার হাতে একগুচ্ছ সিনেমার কাজ। ওই সময়টা তার হাতে নেই। তাই ‘কবি’র ক্যামেরা, লাইট জ্বলে উঠতে পারে আগামী বছর কিংবা তারও পর।
আরআর
