সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার শানু তার প্রাক্তন স্ত্রী রীতার নামে মুম্বাই হাইকোর্টে একটি মানহানির মামলা করেছেন। গায়কের ভাবমূর্তি নষ্ট এবং মিথ্যে অপবাদের কারণে প্রাক্তন স্ত্রীর কাছে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন শানু।
গায়কের মামলার পর এক সাক্ষাৎকারে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রীতা। তিনি দাবি করেন, শানুর সঙ্গে তাঁর বা তাঁর সন্তানদের কোনো যোগাযোগ নেই। গায়ক তাঁদের ফোন নম্বর ব্লক করে রেখেছেন। দীর্ঘ তিন দশক কোনো সম্পর্ক না থাকার পর হঠাৎ এই আইনি পদক্ষেপকে হয়রানি হিসেবেই দেখছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
রীতার ভাষ্য, ‘আমি স্তম্ভিত। যে স্ত্রী তাঁর তিন সন্তানকে বড় করল, আজ তাঁর বিরুদ্ধেই মামলা করছেন তিনি। আমি জানি না উনি কীভাবে ভাবলেন আমার কাছে ৩০ লাখ টাকা আছে।’

রীতা আরও বলেন, ‘যখন আমি সন্তানসম্ভবা তখন উনি আমাকে প্রথমবার আদালতে টেনেছিলেন। আর আজ ৬৩ বছর বয়সে এসে আবার আমাকে আদালতের চক্কর কাটতে হবে। দীর্ঘ ৩১ বছর পর ওঁর (কুমার শানু) সঙ্গে আমার কোর্টে দেখা হবে।’
বিজ্ঞাপন
সাক্ষাৎকারে হাতজোড় করে তিনি বলেন, ‘যদি ভালোবাসতে না পারেন তবে অন্তত আমাদের শান্তিতে থাকতে দিন। দয়া করে আমাদের এভাবে আর হেনস্তা করবেন না।’
সাক্ষাৎকারে মামলার লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শানুর প্রাক্তন স্ত্রী।
২০০১ সালে কুমার শানু এবং রীতা ভট্টাচার্যের বিচ্ছেদ হয়। তাঁদের একটি ছেলেও আছে, জান কুমার শানু।
ইএইচ/

