বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র দেওল ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে পর্দায় দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি ছিলেন অসাধারণ একজন শায়ের। পরিস্থিতি, সময় ও আবেগ বুঝে মুহূর্তের মধ্যেই উর্দু শায়েরি বলতে পারতেন। অভিনেতার জীবনে শেষ ইচ্ছা ছিল তাঁর কবিতাগুলো বই আকারে প্রকাশ করার। কিন্তু তা পূরণ হওয়ার আগেই না ফেরার দেশের পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি দিল্লিতে অভিনেতার স্মরণ সভায় তার শেষ ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন হেমা মালিনী। মঞ্চে দাঁড়িয়ে কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘ধর্মেন্দ্রর কবিতাগুলো বই আকারে প্রকাশ করার জন্য বহুবার অনুরোধ করেছিলেন। শুধু অনুরোধই নয়, বই প্রকাশের জন্য ধর্মেন্দ্র নিজেও ভীষণ আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু নানা ব্যস্ততা আর সময়ের অভাবে শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলো না।’
![]()
স্মরণ সভায় হেমা জানিয়েছেন, ধর্মেন্দ্রর লেখা কবিতার বই প্রকাশের আগে এখনও অনেক কাজ বাকি। সেই অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার দায়িত্ব এখন তার কাঁধে।
স্মরণসভায় ব্যক্তিগত কথাও গোপন রাখেননি অভিনেত্রী। ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, ভালোবাসার গল্প অকপটে স্বীকার করেন। তিনি জানান, তাঁরা কখনও সমাজ বা মানুষকে ভয় পাননি। দুইজনের ভালোবাসা আর বিশ্বাস থেকেই একদিন বিয়ের সিদ্ধান্ত। হেমা বলেন, ‘আমি সারা জীবন এই একজন পুরুষের কাছেই নিজেকে সমর্পণ করেছি।’
বিজ্ঞাপন
দিল্লির স্মরণসভাতে উপস্থিত ছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংসহ ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা। তবে সানি দেওল এবং ববি দেওলাকে দেখা যায়নি।
ইএইচ/

