বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক হিমেশ রেশমিয়ার ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হীর’ ছবিতে ‘তেরি মেরি কহানি’ গানের মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন রানু মণ্ডল। কলকাতার রানাঘাট রেল স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল, সে সময় তাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। বেশিকিছু রিয়েলিটি শোতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তারপর নতুন কোনো গানে কণ্ঠ দিতে দেখা যায়নি? ভাইরাল হওয়ার পর থেকে প্রায় ছয় বছরে পেরিয়ে গেছে। এখন কেমন আছে জানলে শিউরে উঠবেন।
বিজ্ঞাপন
২০১৯ সালে জনপ্রিয় হয়ে উঠলে নিজের পুরানো বাড়ি ছেড়ে নতুন বাড়িতে উঠে ছিলেন রানু। কিন্তু করোনা মহামারীর মধ্যে সেই নতুন বাড়ি ছেড়ে দিয়ে ফের আগের জায়গায় ফিরতে হয় তাকে। একদিকে বলিউডে আর কোনো কাজ পাননি তিনি। আবার মহামারীর কারণে সবকাজ বন্ধ হয়ে যায়। তখন আবারও আর্থিক অভাব ঘিরে ধরে রানু মন্ডলকে।

ভাইরাল হওয়ার পর বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন কোনো গানে পাওয়া যায়নি তাঁকে। এখন রানাঘাটের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে বাস করেছেন তিনি। চারদিকে বাসা বাগান। তার মাঝে একটি পুরাতন বাড়ি। দেখলেই মনে হবে যেকোনো মুহূর্তেই বাড়িটি ভেঙে দুর্ঘটনার ঘটতে পারে। বৃষ্টি শুরু হলেও ঘরে পানিতে পুর্ণ হয়ে যায়। তবুও ঝুঁকি নিয়ে সেখানেই দিন পার করছেন তিনি। উপার্জন না থাকায় অন্যের ওপর নির্ভার করেই চলছে তার জীবন। কেউ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসলে খাদ্য খাবার নিয়ে আসেন। তা খেয়ে এবং এলাকাবাসীর সাহায্য নিয়ে দিনাতিপাত করছেন রানু।
এলাকাবাসী জানান, মানসিকভাবে অসুস্থতার কারণে কারও সঙ্গে মিশতে পারেন না। মাথায় কোনো স্মৃতি ধরে রাখতে পারেন।

অনেকেই মনে করেন ভাইরাল হওয়ার পর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচারণের কারণে ইন্ডাস্ট্রিত থেকে ছিটকে পড়েছেন রানু। ‘তেরি মেরি কহানি’প্রকাশের পর একটি ইভেন্টে রানু মন্ডলের সঙ্গে তার এক ভক্ত সেলফি তুলতে চান। সেই ভক্ত রানু মণ্ডলকে স্পর্শ করে ডেকেছিলেন। আর তাতেই বেজায় চটে যান রানাঘাটের তিনি। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। রানু মন্ডলের এমন উদ্ধত আচরণ মেনে নিতে পারেননি তার ভক্তরা। খ্যাতির চূড়ায় থেকে নামিয়ে আনতে শুরু করেন তার ভক্তরাই।
ইএইচ/

