মঞ্চ থেকে উঠে এসে নিজেকে জাত অভিনেতা হিসেবে আগেই প্রমাণ করেছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। বছর তিন আগে পরিচালনাক হিসেবে আন্তপ্রকাশ করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি গায়ক হিসেবেও পরিচিত তিনি।
সম্প্রতি অনির্বাণের বাংলা রক ব্যান্ড হুলিগানইজমের একটি পলিটিক্যাল স্যাটায়ার গান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ৯ মিনিটের পারফরম্যান্সে উঠে আসে নির্বাচনের আগে ভারতে ভোটার তালিকা সংশোধন থেকে শুরু করে মন্দির-মসজিদ বিবাদ। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের রেগে যাওয়ার প্রবণতা এবং রুদ্রনীল ঘোষ ও দিলীপ ঘোষকে ব্যঙ্গ করেন অনির্বাণ ও তার ব্যান্ড দল।
বিজ্ঞাপন
তবে সবচেয়ে আলোচনায় সনাতন ধর্মকে অসম্মানের অভিযোগ। অনির্বাণ ও তার ব্যান্ড দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে গানের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ উঠেছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে লালবাজারের সাইবার থানায় মামলা দায়ের করেছেন একজন বিজেপি নেতা।

বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি বলেন, ‘ব্যান্ডের প্রচারের জন্য ধর্মবিশ্বাস ও অনুভূতিকে আঘাত করা হয়েছে। পুলিশ যথাযত ব্যবস্থা না নিলে অনির্বাণ ও তার দলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার করার হবে।’
ভারতীয় গণমাধ্যমকে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ই-মেইলের মাধ্যমে বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মেইলে অনির্বাণ ও তার ব্যান্ডের গানের ভিডিও ক্লিপিং পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজেপি নেতাদের ব্যঙ্গ করায় মামলার হুমকি দিলেও তৃণমুল নেতা কুণাল ঘোষ অনির্বাণের গান্নের প্রশংসা করেছেন। এদিকে মামলার ঘোষণা দিয়ে নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন বিজেপি নেতারা। নেটাগরিকদের মন্তব্যে ‘যারা বাক স্বাধীনতা নিয়ে বড় বড় কথা বলে, তারাই এখন বাক স্বাধীনতা হরণ করতে নেমেছে।’
ইএইচ/

