সৌন্দর্য ও অভিনয় দক্ষতা দিয়ে চরিত্র জীবন্ত করে তুলতে জুড়ি নেই নিদ্রা দে নেহার। কাজের সংখ্যা অল্প হলেও প্রশংসায় ছাপিয়ে যান অনেককে। সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ঢাকা মেইলের সঙ্গে ফোনালাপ জমেছিল অভিনেত্রীর।
সামাজিক মাধ্যমের কারণে নেটিজেনদের কাছাকাছি তারকারা। চাইলে মন্তব্যের ঘরে কিংবা ইনবক্সে দুই কথা লিখতে পারেন। এতে বিড়ম্বনায় অভিনেত্রীরা। কেননা মাঝে মাঝেই নেটাগরিকদের আচরণ মাত্রা ছাড়ায়। নেতিবাচক মন্তব্যে ওষ্ঠাগত হয় প্রাণ।
বিজ্ঞাপন

কীভাবে সামলান— জানতে চাইলে নেহা বলেন, ‘তারকার আগে আমি একজন বাঙালি মেয়ে। আমাদের দেশে একজন মেয়েকে রাস্তা-ঘাট বিভিন্ন জায়গায় বুলিং সহ্য করে বড় হতে হয়। আমিও ছোটবেলা থেকে এসব সহ্য করে বড় হচ্ছি। আগে রাস্তায় চলার সময় মানুষ যেটা বলত এখন সেটা কমেন্টে আসে। যেহেতু আমি পাবলিক ফিগার তাই পাবলিকের সবকিছু নিতে আমাকে জানতে হবে। ভালোটা নেব খারাপটা নেব না তা তো হবে না।’
দূর্গা পূজার বেশি দেরি নেই। শিগগিরই বাবার বাড়ি আসবেন দশভূজা। তবে পূজার প্রস্তুতি এখনও শুরু হয়নি অভিনেত্রীর। ব্যাস্ত বাবার অসুস্থতা নিয়ে। তার কথায়, ‘পূজার প্রস্তুতি এখনও শুরু হয়নি। বাবা অসুস্থ। অবস্থা বেশি ভালো না। একটু আশঙ্কায় আছি। শিগগরই তাকে নিয়ে মুম্বাই যেতে হবে। এরমাঝে কাজে মনোযোগ দিচ্ছি। যখন দেশে থাকি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তখন সম্পূর্ণ মনোযোগ কাজে দিই। তাছাড়া আমার বাবার দুই মেয়ে। আমি দেশে থাকি। অন্যজন বাইরে। ওই জায়গা থেকে বারার দেখাশোনা আমাকেই করতে হয়। আর এটাই আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত। কাজও করছি। দুটোকে কীভাবে সামলানো যায় ওটার চিন্তা করছি। যদি বাবার সবকিছু মুম্বাই থেকে ঠিকমতো করে আসতে পারি। তবে পূজা ঢাকায় নাও কাটাতে পারি। ইচ্ছা আছে দেশের বাইরে কোথাও যাওয়ার।’
বিজ্ঞাপন

সবশেষে ব্যস্ততা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিনেত্রী বলেন, ‘সামনে দুটি সিনেমার কাজ আছে। আপতত প্রস্তুতি নিচ্ছি। এরমধ্যে বিজ্ঞাপনের কাজগুলো করা হচ্ছে। মাঝে আমার পা ভেঙেছিল। দেড় মাস আমি বেড রেস্টে ছিলাম। সুস্থ হয়ে ফের কাজ শুরু করলাম। সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না।’

