শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বাংলা সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন জহির রায়হান

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম

শেয়ার করুন:

বাংলা সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে জহির রায়হান
জহির রায়হান

জহির রায়হান বাংলাদেশের এক অনন্য সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার। তাঁর লেখা উপন্যাস ‘হাজার বছর ধরে’ এবং ‘জীবন থেকে নেয়া’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি নির্মাণ করেন প্রামাণ্যচিত্র ‘Stop Genocide’। যা বিশ্ববাসীর কাছে পাকিস্তানি সেনাদের বর্বরতার চিত্র তুলে ধরে। 

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বড় ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারকে খুঁজতে গিয়ে ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি মিরপুরে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে তিনি আর ফিরে আসেননি। আজ ১৯ আগস্ট বরেণ্য কথা সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার  জহির রায়হানের ৯০তম জন্মদিন। ১৯৩৫ সালের এই দিনে ফেনী জেলার মজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। 


বিজ্ঞাপন


জহির রায়হান কর্মজীবন শুরু করেন সাংবাদিকতার মাধ্যমে। পরে ১৯৫৭ সালে ‘জাগো হুয়া সবেরা’ নামে একটি সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে নাম লেখান তিনি। ১৯৬৪ সালে তার হাত ধরেই নির্মিত হয় পাকিস্তানের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র ‘সঙ্গম’।

jahir

১৯৬৬ সালে ‘বাহানা’ নামক একটি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পাকিস্তানের সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্রও তিনিই প্রথম নির্মাণ করেন। এরপরের বছর মুক্তি পায় তার ‘বেহুলা’ সিনেমাটি। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সহকারী পরিচালক থেকে নায়কের খাতায় নাম লেখান নায়করাজ রাজ্জাক। মুক্তির পর তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন সিনেমাটি। বাংলার লোকজ কাহিনি থেকে নির্মিত এই সিনেমা ঢাকাই চলচ্চিত্রের ভিত্তি মজবুত করতে ব্যাপক অবদান রেখেছিল। 


বিজ্ঞাপন


চলচ্চিত্রের পাশাপাশি প্রামান্যচিত্র নির্মাণেও জহির রায়হান সেরা ছিলেন। তার নির্মিত ‘বার্থ অব নেশন’, ‘লিবারেশন ফাইটার্স’ এবং ‘ইনোসেন্ট জিনিয়াস’ বিশ্বজুড়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে অবদান রেখেছিল।

জহির রায়হান সাধারণ মানুষের খুব নিকট; হৃদয়ের কাছাকাছি এক মানুষ। হাজার হাজার ধরে ছুটে চলা এক ফাল্গুন। বরফ গলা নদী। আন্দোলনে সবর্দা অনুপেরণা জুগিয়েছে তাঁর সাহিত্য। সবশেষ জুলাই আন্দোলনেও কত শতবার প্রতিধ্বনিত হয়েছে, ‘আসছে ফাল্গুনে আমরা দ্বিগুণ হব’।

বাংলা চলচ্চিত্রের এই প্রাবাদ পুরুষের চলচ্চিত্র ও সাহিত্যকর্মে বারবার উঠে এসেছে দেশ ও দেশত্ববোধের কথা। স্বীকৃতিস্বরূপ জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পর বেশকিছু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। এগুলো হচ্ছে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৪, হাজার বছর ধরে), নিগার (কাঁচের দেয়াল, শ্রেষ্ঠ বাংলা ছবি), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭১, সাহিত্য : মরণোত্তর, ১৯৭২ সালে ঘোষিত), একুশে পদক (১৯৭৭, চলচ্চিত্র : মরণোত্তর) ও স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৯২, সাহিত্য : মরণোত্তর)। 
 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর