২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ‘কাগজের ফুল’ নামের একটি চলচ্চিত্রের শুটিং লোকেশন দেখে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর। এই দুর্ঘটনায় তাঁদের তিন সহকর্মীও নিহত হন।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার, দ্রুত ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং কার্যকর বীমা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।
বিজ্ঞাপন
২০১১ সালের দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া এবং সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক প্রচারক ক্যাথরিন মাসুদ বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে আমাদের ক্ষতিপূরণের মামলা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে। এই ঘটনা একটি সার্বিক বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে। ২০১৮ সালে সড়ক নিরাপত্তার জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর প্রণীত সড়ক পরিবহন আইনটি ছিল আংশিক এবং অপর্যাপ্ত।’
তারেক মাসুদের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘২০১৮ সালের সড়ক আইনে জবাবদিহিতা, তদারকি ও কার্যকর প্রয়োগ ব্যবস্থার অভাব ছিল। এমনকি কোনো রকম বিকল্প ব্যবস্থা না করে, পূর্ববর্তী আইনে বিদ্যমান সিমিত জবাবদিহিতাও অপসরণ করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাক্তিদের জন্য অনুদান নয়, ক্ষতিপূরণ প্রয়োজন। চালক, পরিবহন কম্পানি এবং বীমা প্রদানকারী সকলের জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রকৃত সংস্কার এবং নিরাপত্তা তখনই সম্ভব হবে যখন আর্থিকভাবে দায়বদ্ধ করা হবে।’
বিজ্ঞাপন
তারেক মাসুদের পরিবারের করা ক্ষতিপূরণ মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বাসের মালিকপক্ষ এবং বাদীপক্ষের দায়ের করা পৃথক আপিল মামলা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রয়েছে।
অন্যদিকে মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিহত মিশুক মুনীরের পরিবারের দায়ের করা ক্ষতিপূরণ মামলাটিতে বিবাদীপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য হাইকোর্টে ১৬ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এক লিখিত বিজ্ঞপতিতে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য দ্রুত ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং যানবাহনের জন্য বাধ্যতামূলক বীমা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে।

